শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিদায় কিংবদন্তি পাওলো রোসি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিদায় কিংবদন্তি পাওলো রোসি

আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুশোক কাটিয়ে ওঠার আগেই ফুটবলভক্তরা আরও একটি দুঃসংবাদ পেল। ইতালির জার্সিতে ১৯৮২ বিশ্বকাপজয়ী তারকা ফুটবলার পাওলো রোসি ৬৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। পাওলো রোসির স্ত্রী ফেডেরিকা ক্যাপেলেত্তি ইনস্টাগ্রামে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি নিজেদের একটি ছবি পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এখানে তোমার মতো আর কেউ হবে না। তুমি ছিলে অনন্য, বিশেষ একজন।’

পাওলো রোসির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তবে ইতালিয়ান মিডিয়া বলছে, দীর্ঘদিন থেকেই জটিল রোগে ভুগছিলেন রোসি। সেই রোগেই তার মৃত্যু হয়েছে। পাওলো রোসির মৃত্যুতে ইতালিজুড়েই শোকের বন্যা বইছে। ১৯৮২ বিশ্বকাপে ইতালিকে নেতৃত্ব দেওয়া গোলরক্ষক ডিনো জফ বলেছেন, ‘রোসি ছিলেন একজন অসাধারণ ফুটবলার এবং টিমমেট। একজন চমৎকার বন্ধু।’ বিশ্বকাপের সেই দলে রোসিকে দলে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেই দলে রোসিকে রিপ্লেস করার মতো কেউ ছিল না। আমরা ওই দলে সবাই বন্ধু ছিলাম। একটি অসাধারণ দল ছিল।’ জুভেন্টাস নিজেদের ওয়েবসাইটে শোক জানিয়ে লিখেছে, ‘পাবলিতো (পাওলো রোসি) চলে গেছেন। পুরো জাতির জন্য তিনি অবিস্মরণীয়। আর আমাদের জন্য আরও বেশি কিছু।’ ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে শোক জানিয়েছেন, ‘অবিস্মরণীয় এক চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি। তার গোল একটি জেনারেশনকে স্বপ্ন দেখিয়েছিল।’

পাওলো রোসি একজন বিশ্বজয়ী নায়ক হলেও তার ‘টটোনেরো’ স্ক্যান্ডালের কথা এখনো কেউ ভোলেনি। ১৯৮০ সালে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে রোসিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এ জন্য জেলও খেটেছেন। অবশ্য আদালতে তা প্রমাণ হয়নি। এমনকি রোসিও সারা জীবন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তবে নিষিদ্ধ থাকার পরও বিশ্বকাপের মতো আসরে প্রায় অপ্রস্তুত অবস্থায় খেলতে গিয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করা সহজ ব্যাপার ছিল না। এই অসাধারণ কীর্তির জন্যই ইতালি এবং বিশ্বের সব ফুটবলপ্রেমীর কাছে প্রিয় হয়ে থাকবেন পাওলো রোসি। ১৯৮২ সালে ফাইনালে ১টি, সেমিফাইনালে ২টি এবং ব্রাজিলের বিপক্ষে ৩টি গোল করেছিলেন তিনি। তিনটা ম্যাচই ছিল ইতালির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেবার বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফির পাশাপাশি সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার (গোল্ডেন বুট) এবং সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও (গোল্ডেন বল) জয় করেন রোসি।

সর্বশেষ খবর