দিনো জফ, ওয়াল্টার জিঙ্গা, জিয়ানলুইজি বুফন-এক একজন ইতালি ফুটবলের কিংবদন্তির গোলরক্ষক। এদেরই যোগ্য উত্তরসূরি জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা। দোন্নারুমার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ১৯৬৮ সালের পর পুনরায় ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইতালি। ৫৩ বছর পর ইউরো চ্যাম্পিয়ন হতে আজ্জুরিরা টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। টাইব্রেকারের নায়ক দোন্নারুমা। ইংলিশদের ৫ শটের দুটি ঠেকিয়েছেন পাখির মতো বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে। অবশ্য আরও একটি শট মিস করে ইংলিশরা। পাঁচ শটের তিনটি মিস করে ইউরো জেতা হয়নি ইংল্যান্ডের। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালিকে দ্বিতীয়বার ইউরো সেরার নায়ক দোন্নারুমা পুরস্কারও পেয়েছেন। ইউরোর ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের গোলরক্ষক হিসেবে সেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন ২২ বছর বয়সী দোন্নারুমা।
লন্ডনের ওয়েম্বলিতে দুই ফুটবল পরাশক্তির ফাইনাল নির্ধারিত ১২০ মিনিট ছিল ১-১ গোলে ড্র। এরপর টাইব্রেকারে ইতালি প্রথম শটে গোল করে। ইংলিশরাও গোল করে। দ্বিতীয় শট মিস করে রবার্তো মানচিনির দল। দ্বিতীয় শটে গোল করে গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড। পরের তিন শটেই যত নাটক, রোমাঞ্চ। ইতালি গোল করে দুটি এবং মিস করে একটি। বিপরীতে স্বাগতিক ইংল্যান্ড মিস করে টানা তিনটি। শেষ দুটি আবার ঠেকিয়ে দেয় দোন্নারুমা। শুধু ফাইনালেই নয়, সেমিফাইনালেও স্পেনের বিপক্ষে টাইব্রেকারে জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি। আলভারো মোরাতার শট ঠেকিয়ে ফাইনালে উঠান ইতালিকে। তিনি ক্লাব ফুটবলে নেইমারের সঙ্গী। গতমাসে নাম লেখান পিএসজিতে। ইতালির জার্সিতে তিনি খেলেছেন ৩৩ ম্যাচ। ইউরোতে ৭১৯ মিনিট খেলে গোল খেয়েছেন মাত্র ৪টি এবং সেভ করেছেন ৯টি। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে তিনি গোল খাননি। প্রথম গোল খান অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে নকআউট পর্বে। যা তিনি ১১ ম্যাচ পর হজম করেন।
গোটা টুর্নামেন্টে ব্যক্তিগত ও দলীয় পারফরম্যান্স এবং দলের পারফরম্যান্সের উপর প্রভাব ও ইতিবাচক মানসিকতার জন্য ইউরোর টেকনিক্যাল পর্যবেক্ষক দল সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত করেছে জিয়ানলুইজি দোন্নারুমাকে।