রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

একাই নিলেন ৬ উইকেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক

একাই নিলেন ৬ উইকেট

তাইজুল ইসলাম

ডারবান টেস্ট জয়ের নায়ক বাঁ হাতি স্পিনার কেশব মহারাজ। পোর্ট এলিজাবেথে স্পিনার মহারাজ বনে যান ব্যাটার। টাইগার বোলারদের ব্যাট হাতে শাসন করে তুলে নেন ক্যারিয়ার সেরা ৮৪ রানের ইনিংস। মহারাজসহ আরও তিন প্রোটিয়া ব্যাটারের হাফসেঞ্চুরিতে ৪৫৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপরও পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টটি আলাদা করে স্মরণীয় হয়ে থাকবে টাইগার বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের। টাইগার বাঁ হাতি স্পিনার প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ৫ বা ততোধিক উইকেট নেন। স্বাগতিক ব্যাটারদের দাপটের মাঝে ৫০ ওভারের স্পেলে ১৩৫ রানের খরচে ৬ উইকেট নিয়ে একটি বিশেষ মাইলফলক গড়েন। সাইমন হার্মারকে সাজঘরে পাঠিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ১৫০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখান। পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টসহ তার পরিসংখ্যান ৩৬ টেস্টে ১৫০ উইকেট। সাকিবের উইকেট ৫৯ টেস্টে ২১৫টি। সাকিবই একমাত্র টাইগার বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ উইকেট নিয়েছেন। টেস্টে ১০০ উইকেট নেওয়া বাকি দুই ক্রিকেটার মেহেদী মিরাজ ও মোহাম্মদ রফিক।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে একমাত্র টেস্ট স্পিনার তাইজুল। যদিও ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন। ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক রয়েছে তার। তারপরও দলের ‘আনসাং’ হিরো। সাকিব কিংবা মেহেদী হাসান মিরাজের ছায়ায় হাঁটেন। টেস্ট সিরিজে সাকিব থাকলে তাইজুল হয়তো সাজঘরে বসে থাকতেন। ভাগ্য সহায়তায় পোর্ট এলিজাবেথে খেলতে নামেন ডান হাতি ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদের বদলে। ডারবান টেস্টে ডান কাঁধে ব্যথা পেয়ে দেশে ফিরে আসেন ডানহাতি ফাস্ট বোলার। টেস্টের আগের দিনও তাইজুলের খেলার সম্ভাবনা ছিল ৫০ শতাংশ। ডারবানে কেশব মহারাজের ঘূর্ণিতে মুগ্ধ বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট তাইজুলকে একাদশে নেন। ডারবানে সুযোগ পাননি বাঁ হাতি স্পিনার। শুধু তাই নয়, সিমিং কন্ডিশনে ভালো করতে পারবেন না অজুহাতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে সুযোগ হয়নি তার। অথচ গত ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন টেস্ট। চলতি বছর এটাই তার প্রথম টেস্ট। ২০২১ সালে ৮ টেস্টে ৩০ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল।

পোর্ট এলিজাবেথে নামের প্রতি সুবিচার করেন। প্রথম দিনে নেন ৩ উইকেট। গতকাল নেন আরও ৩টি। সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে তার স্পেল ৫০-১০-১৩৫-৬। আফ্রিকার মাটিতে টাইগার বোলারদের দ্বিতীয় সেরা বোলিং। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এটাই তার প্রথম ৫ উইকেট। দেশটির বিপক্ষে সেরা বোলিং অবশ্য সাকিবের। ২০০৮ সালে সেঞ্চুরিয়ানে ২৮ ওভারের স্পেলে ৯৯ রানের খরচে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগারদের সেরা বোলিং পেসার শাহাদাত হোসেন রাজিবের, ১৫.৩-৮-২৭-৬। আরেক বাঁ হাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিকও ৬ উইকেট নিয়েছিলেন প্রোটিয়াদের বিপক্ষে। প্রথম দিন স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ২৭৮। তাইজুল নিয়েছিলেন ৩। গতকাল দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে প্রথম আঘাত হানেন খালেদ। এরপর টানা প্রতিপক্ষের উইকেটগুলো তুলে নেন তাইজুল। প্রথমদিন ৩ উইকেট নেওয়ার পর গতকাল নেন আরও ৩ উইকেট।  তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ৩৯ রানে ৮ উইকেট।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর