রবিবার, ১২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ ১: ২ তুর্কমেনিস্তান

কপাল দোষে এমন হার

দুটো ম্যাচেই জামাল ভূঁইয়ার নেতৃত্বের প্রশংসা না করে পারছি না। ওকে অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫টি ম্যাচ খেলার জন্য।

কপাল দোষে এমন হার

ম্যাচ শেষে এমন উচ্ছ্বাস আর ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশের ফুটবলাররা -বাফুফে

বাহরাইনের পর তুর্কমেনিস্তানের কাছেও বাংলাদেশ হেরে গেল। টানা দুই হারে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব থেকে বিদায় নিল লাল-সবুজের দল। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবে। দেখেন একটা ব্যাপারে আমি কেন, অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশ পরবর্তী রাউন্ডে যেতে পারবে না। আমি নিজেও জাতীয় দলে খেলেছি ও নেতৃত্বও দিয়েছি। হারের বৃত্তে বন্দী থাকায় সমালোচনা ও তিরস্কার দুটোই জুটেছে। অনেকদিন ধরে জাতীয় দল শিরোপা পাচ্ছে না। যে আসর ঘিরে আমাদের প্রত্যাশাটা বেশি থাকে সেই সাফ ফুটবলে সেমিফাইনাল খেলাটাও স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। পারফরম্যান্সের এতটা বেহাল দশা যে ৯০ মিনিটের ম্যাচে ৫০ মিনিট খেলেই দম শেষ।

মালয়েশিয়াতে দুই ম্যাচ হারলেও আমি বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে দেখতে পেরেছি। লড়াই করার ক্ষমতাটা ছিল দারুণ। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ঢাকায় কাতারের কাছে হার ও সল্টলেকে ভারতের বিপক্ষে ড্র করা ম্যাচে বাংলাদেশের ফুটবলাররা যে নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন তা গত ২০ বছরে দেখিনি। এতটা ভালো খেলেছিল দুই ম্যাচ জিতে গেলেও অবাক হওয়ার  কিছু ছিল না।

বাহরাইন ও গতকাল তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে সে রকমই সাহসী খেলাটা দেখলাম। দুটো ম্যাচেই জামাল ভূঁইয়ার নেতৃত্বের প্রশংসা না করে পারছি না। ওকে অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫টি ম্যাচ খেলার জন্য।

বাহরাইনের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে জামালরা যে খেলাটা দেখাল তাতে আশাবাদী ছিলাম তুর্কিমেনিস্তানের বিপক্ষে ওরা র‌্যাঙ্কিং ও শক্তির দিক দিয়ে এগিয়ে থাকলেও আমার বিশ্বাস ছিল বাংলাদেশ জ্বলে উঠবে। শুধু জ্বলে উঠেনি আমি বলব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশই জয় পেত। ওই যে একটা কথা আছে না ভালো খেললেই জেতা যায় না। কপাল লাগে, সেই কপালের দোষে ১-২ গোলে হেরেছি আমরা। যারা টিভিতে খেলা দেখেছেন তাতে বাংলাদেশের আক্রমণ কতটা জোরাল ছিল তা স্বীকার করবেন। অল্প সুযোগ কাজে লাগিয়ে জয় পেয়ে গেল তুর্কমেনিস্তান।

এই হার সত্যিই আফসোসের। শুরুতে বাংলাদেশ গুছিয়ে উঠতে পারছিল না। সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে ওরা। টানা চারটি কর্নারে শেষটিতে আলতিমিয়াতের কোনাকুনি শর্টে গোল করেন। যেখানে জিকোর কিছু করার ছিল না। কিন্তু বিশ্বনাথ, াদশা ও ইয়াসিন বলের দিকে চোখ রাখলে জালে বল  না জড়ানোর সম্ভাবনা ছিল। যাক ১৪ মিনিটে বিশ্বনাথের থ্রো রাকিবের ব্যাকহেড থেকে পুনরায় হেড নেন ইব্রাহিম। সমতা ফিরে ম্যাচে। এরপর একের পর এক সুযোগ হাত ছাড়া। রাকিব, ইব্রাহিম, বিপলু, সাজ্জাদরা যেন গোল মিসের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন। এমন নিয়ন্ত্রিত ম্যাচও আমাদের ডিফেন্ডারদের ভুলে আরসনাল গোল করে বসেন। তারপরও ম্যাচ ড্র হতে পারত। ফাঁকা পোস্টে বাদশা জালে বল পাঠাতে ব্যর্থ হলে আশা পরিণত হয় হতাশায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর