আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের এক নম্বর গ্রুপে আজ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে লড়াইয়ে নামছে ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড। ২০১০ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবার ফেবারিটের তালিকায় থেকেই খেলছে। প্রথম ম্যাচে তারা আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ৫ উইকেটে। অন্যদিকে আইরিশরা সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজয় স্বীকার করেছে ৯ উইকেটে। সেমিফাইনাল খেলার জন্য আজ ইংল্যান্ডের জয় প্রয়োজন। অন্যদিকে লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য জয়ের বিকল্প নেই আইরিশদেরও।
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ২০১১ আসরে বেঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ক্রিকেট দুনিয়াকে বেশ চমকে দিয়েছিল আইরিশরা। ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয় পেতে এরপর তাদেরকে অপেক্ষা করতে হয় প্রায় সাড়ে ৯ বছর। ২০২০ সালের আগস্টে সাউদ্যাম্পটনে ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারায় আয়ারল্যান্ড। সবমিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই দল ১৩ বার মুখোমুখি হয়। এর মধ্যে ১০ বারই জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। দুইবার জিতেছে আয়ারল্যান্ড। একবার পরিত্যক্ত হয় ম্যাচ। টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ওয়ানডের পরিসংখ্যান টানা কিছুটা বেমানানই। তবে অতীতে এ দুটি দল কখনো টি-২০ ক্রিকেটে লড়াইয়ে নামতে পারেনি। ২০১০ সালে প্রভিডেন্সে একবার লড়াই হওয়ার কথা ছিল। তবে তা বাতিল হয়ে যায় বৃষ্টির কারণে। অতীত থেকে দুই দল সম্পর্কে ধারণা পেতে হলে তাই ওয়ানডের পরিসংখ্যানই ঘাটতে হবে।
অতীত পরিসংখ্যান ও বর্তমান শক্তিমত্তাই অনেক এগিয়ে থেকেই মাঠে নামছে ইংল্যান্ড। তবে আইরিশদের লড়াকু মানসিকতা নিয়ে বেশ সতর্ক থাকছেন ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলার। তাছাড়া উইকেট নিয়েও বেশ চিন্তিত তিনি। বাটলার বলেন, ‘আমরা এই মাঠে (মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড) ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ দেখেছি। দুটি দলই দারুণ বোলিং করেছে। এখানে অনেক সুইং পাওয়া যাবে। আমরা সেটা কাজে লাগাতে পারব কি না দেখা যাক।’ বল সুইং না করলে ‘প্ল্যান বি’ কাজে লাগাতে চান বাটলার। অন্যদিকে আইরিশরা নিজেদের ‘আন্ডারডগ’ তকমাটাকেই কাজে লাগাতে চাচ্ছে। আয়ারল্যান্ডের কোচ হেনরিখ মালান বলেছেন, ‘আমরা সবকিছুই জানি। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে এবং পরিবেশ সম্পর্কে। এই পরিস্থিতিটাই কাজে লাগাতে চাই।’
আয়ারল্যান্ড-ইংল্যান্ড সকাল ১০টা
নিউজিল্যান্ড-আফগানিস্তান বেলা ২টা
ভেন্যু : মেলবোর্ন স্টেডিয়াম