বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

হকির কাউন্সিলর নিয়ে বিতর্ক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কাউন্সিলরশিপের চিঠি নিয়েই নোংরামির অভিযোগ উঠেছে। ঢাকার বিভিন্ন লিগে খেলা ৩২টি ক্লাবকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু অবাক কান্ড, ৩০টি ক্লাবকে কাউন্সিলর চেয়ে একই ভাষায় চিঠি দেওয়া হলেও দুটি ক্লাবের ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে

হকি ফেডারেশনের নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষ। সামনে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি হবে। নির্বাচন কমিশন ঠিক না হওয়ায় এখনো তফসিল ঘোষণা হয়নি। অথচ এরই মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ রাখতে একটি মহলের প্রভাব খাটানোর অভিযোগও উঠেছে। বিভিন্ন ক্লাব বা সংস্থার কাউন্সিলরা নির্বাচনে প্রার্থী কিংবা ভোটার হতে পারবেন। সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল হক সাঈদ স্বাক্ষরিত প্যাডে কাউন্সিলরের নাম চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। ১৫ মে ছিল নাম পাঠানোর শেষ দিন। এ কাউন্সিলরশিপের চিঠি নিয়েই নোংরামির অভিযোগ উঠেছে। ঢাকার বিভিন্ন লিগে খেলা ৩২টি ক্লাবকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু অবাক কান্ড, ৩০টি ক্লাবকে কাউন্সিলর চেয়ে একই ভাষায় চিঠি দেওয়া হলেও দুটি ক্লাবের ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ক্লাব দুটি হকির প্রাচীনতম কম্বাইন্ড স্পোর্টিং ও হকি ঢাকা ইউনাইটেড। দুই ক্লাবকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেখানে ক্লাব সভাপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে আপনার ক্লাবের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন, ক্লাবের গঠনতন্ত্র, ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট, ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির তালিকা ও কমিটি অনুমোদনকারী ব্যক্তির নামসহ প্রেরণ করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

বিতর্ক বা নোংরামির অভিযোগ ওঠা তো স্বাভাবিক। কারণ সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠি ৩০ ক্লাবকে পাঠানো হয়েছে একরকম। দুটি ক্লাবের ক্ষেত্রে ভিন্ন হবে কেন? অথচ গত নির্বাচনে সাজেদ এ. এ. আদেল হকি ঢাকা ইউনাইটেডের কাউন্সিলর হয়ে অংশ নেন এবং সহসভাপতিও নির্বাচিত হন। একইভাবে কম্বাইন্ডের কাউন্সিলর হয়ে জহিরুল ইসলাম মিতুল নির্বাচনে অংশ নেন এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। যে নির্বাচনে সাঈদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তা ছাড়া দুটি ক্লাব নিয়মিত লিগ খেলছে, ফেডারেশনের অংশগ্রহণ মানি পাচ্ছে। তাদের নির্বাহী কমিটির তালিকাও আগেই ফেডারেশনে জমা দেওয়া আছে। এর পরও তাদের চিঠিতে শর্ত জুড়ে দেওয়া হলো কেন? যদি ৩০ ক্লাবকে একই শর্ত দেওয়া হতো, তাহলে বিতর্কটা উঠত না। যাক, এর পরও হকির আসন্ন নির্বাচনে দুই ক্লাব তাদের কাউন্সিলরের নাম হকি ফেডারেশনে জমা দেয়। কিন্তু তা গ্রহণযোগ্য হয়নি।

সাঈদ স্বাক্ষরিত দুই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদককে চিঠিতে জানানো হয়েছে, ‘আপনার ক্লাবের বিকল্প একটি কমিটি আপনার ব্যবহৃত প্যাডের ঠিকানা এবং তাদের প্রেরিত ঠিকানা ও প্যাড একই; যা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংসদ সদস্য কর্তৃক অনুমোদিত কমিটি আমাদের হাতে এসেছে এবং আপনার কমিটির বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছে যে, আপনার কমিটি বৈধ নয়। ফলে তারা কাউন্সিলর ফরম সংগ্রহ করে আপনার আগেই কাউন্সিলরের নাম জমা দিয়েছে। সে কারণে আপনার ক্লাবের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন, ক্লাবের গঠনতন্ত্র, কমিটির তালিকা ও অনুমোদনকারী ব্যক্তির নাম, ব্যাংক অ্যাকাউন্টি নম্বর চাওয়া হয়েছিল। এসব বিষয়ে উপস্থাপন করতে না পারলে আপনার জমা দেওয়া ফরমটি বাতিল করে তাদের দেওয়া নাম অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রকাশ করা হবে।’

 

সর্বশেষ খবর