শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্বপ্নের ফাইনালে ম্যানসিটি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্বপ্নের ফুটবল খেলল পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। কল্পনার ফুটবল খেললেন বার্নাড ডি সিলভা, জ্যাক গ্রিলিস, কেভিন ডি ব্রুইন, আর্লিং হলান্ড, আলভারেজরা। দুরন্ত, দুর্দান্ত ফুটবল খেলে গার্দিওলার অপ্রতিরোধ্য ম্যানসিটি ঠাঁই নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বপ্নের ফাইনালে। ১০ জুন ইস্তাম্বুলের কামাল আতাতুর্ক স্টেডিয়ামে ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলানের প্রতিপক্ষ হতে পরশু রাতে দাবার চালের মতো পরিকল্পিত ফুটবল খেলেছে ম্যান সিটি। ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে গার্দিওলা বাহিনী স্বপ্নীল ফুটবল খেলে বিধ্বস্ত করেছে সর্বাধিক ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়ালকে। শক্তির সঙ্গে গতির অদ্ভুত মিশেলের পাসিং ফুটবল খেলে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে রিয়াল মাদ্রিদকে। বার্নাব্যুতে প্রথম লেগে ম্যানসিটি-রিয়াল ম্যাচটি ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে ম্যানসিটি। একই সঙ্গে গত আসরের সেমিফাইনালে রিয়ালের কাছে হারের প্রতিশোধও নিয়েছে। প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান ফাইনালে উঠেছে ১৩ বছর পর।

২০২০-২১ মৌসুমে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফাইনাল খেলে ম্যানসিটি। ফেবারিট হয়েও চেলসির কাছে হেরে যায় ১-০ গোলে। গতবারও সেমিফাইনাল খেলে। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে রিয়ালের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে জিতেও দ্বিতীয় লেগে হেরে বিদায় নেয়। বার্নাব্যুতে দ্বিতীয় লেগে ৮৯ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু শেষ কয়েক মিনিটে নাটকীয় ফুটবল খেলে ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে ম্যানসিটিকে বিদায় করে দেয় রিয়াল। গত আসরের বিদায়ের প্রতিশোধ নিল পরশু রাতে।

ইতিহাদের ৫০ হাজার সমর্থকের লাগাতার সমর্থন। উজ্জীবিত ম্যান সিটি শুরু থেকে আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেয় রিয়ালেল রক্ষণভাগে। ৭ মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি হলান্ড। ১৩ মিনিটে রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার দৃঢ়তায় গোল পাননি ‘গোল মেশিন’ হলান্ড। ২১ মিনিটে ফের দলকে বাঁচান কর্তোয়া। ম্যানুয়েল আকাঞ্জির ক্রসে ৬ গজ দূর থেকে হলান্ডের হেড বাঁচিয়ে দেন কোর্তোয়া। দুই মিনিট পর ২৩ মিনিটে গোল উচ্ছ্বাসে ভাসে ম্যান সিটি। ডান প্রান্ত থেকে ডি ব্রুইনের পাস বক্সের ফাঁকায় পেয়ে দুরন্ত গতির শটে ১-০ করেন দলের পর্তুগিজ মিডফিল্ডার সিলভা। পিছিয়ে পরে কার্লোস আনচেলত্তির রিয়াল ঘুরে দাঁড়াতে চেস্টা করে। তখনই কফিনে দ্বিতীয় পেড়েক ঠুঁকে দেন সিলভা। ৩৭ মিনিটে ইলকাই জিনদোয়ানের শট প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে ফিরলে সিলভা নিখুঁত হেডে ২-০ করেন। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণ নেয় রিয়াল। কিন্তু গোল করতে পারেননি করিম বেনজামারা। খেলার বিপরীতে ৭৬ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ হয়। বাঁ প্রান্ত থেকে ডি ব্রুইনের ফ্রি কিক বক্সের কেউই ছুঁতে পারেনি। ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে পাঠান ডিফেন্ডার মিলিতাও। ৮৩ মিনিটে অবশ্য সিটির গোলরক্ষক এডারসন দারুণ সেভ করেন। ৮৯ মিটিটে মাঠে নামেন সিটির আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার আলভারেজ। ম্যাচের যোগ করা সময় প্রথম টাচেই গোল করে রেকর্ড বুকে নাম লেখান আলভারেজ (৪-০)।

সর্বশেষ খবর