সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

কথা দিয়ে কথা রাখে না বাফুফে!

সাফ জেতার পর সালাউদ্দিন সাবিনাদের বলেছিলেন, তোমাদের আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। কথা কি রাখতে পেরেছেন বাফুফে সভাপতি?

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কথা দিয়ে কথা রাখে না বাফুফে!

টানা চার মেয়াদে বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড গড়েছেন সালাউদ্দিন। কিন্তু তিনি বা তার কমিটি কথা দিয়ে কথা রাখতে পেরেছেন কি? একটা কথা অবশ্য রেখেছিলেন। নির্বাচিত হওযার এক বছরের মধ্যেই তিনি নতুন টুর্নামেন্ট কোটি টাকার সুপার কাপ মাঠে নামিয়েছিলেন। ব্যস, এ পর্যন্ত। বলেছিলেন, সুপার কাপে সামনে যেমন বিদেশের নামকরা দল অংশ নেবে তেমনি প্রাইজ মানিও বাড়বে। তা কি পেরেছেন? তিনবার আয়োজন করেই শেষ। বলেছিলেন, তিনি যত দিন সভাপতি থাকবেন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ নিয়মিত হবে। জাতির জনকের নামকরণে এ টুর্নামেন্ট। অথচ এখানেও ফেল। কথা না রাখার ক্ষেত্রে বাফুফেকে চ্যাম্পিয়নই বলা যায়।

সালাউদ্দিন বলেছিলেন, জাতীয় দলের চেহারা বদলে দেবেন। কই তিনি তো দায়িত্বেই আছেন, এত দিনেও জাতীয় দল কোনো আসরে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর তো সাফ চ্যাম্পিয়নে সেমিফাইনাল খেলাটা স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। বাফুফে অবশ্য একটা ক্ষেত্রে পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে, তা হলো ঘন ঘন কোচ বদল। তাও আবার ফিফার কাছে নালিশ করে কয়েকজন কোচ বেতন আদায় করতে পেরেছিলেন। পুরুষ জাতীয় দল ২০ বছর ধরে কোনো শিরোপা জিততে পারেনি। ফুটবলপ্রেমীরা এখন আর জাতীয় দলের প্রতি আগ্রহীও নন।

অন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফুটবলের আলোটা জ্বালিয়ে রেখেছেন নারী ফুটবলাররা। ভাবা যায়, যে মেয়েরা বলে লাথি মারতে পারতেন না, তারাই কি না এখন দেশের গর্ব। এখন জাতীয় দলে খেলা পুরুষ ফুটবলারদের অনেকে নামই বলতে পারবে না। কিন্তু সাবিনা, সানজিদা, স্বপ্না, আঁখিদের নাম সবার মুখে মুখে। বয়সভিত্তিক দল তো আছেই, নারী জাতীয় দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শিরোপা যেন তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তারপরও নারী ফুটবলারদের নিয়ে বাফুফের অবহেলার শেষ নেই। সাফ জেতার পর সালাউদ্দিন সাবিনাদের বলেছিলেন, তোমাদের আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। কথা কি রাখতে পেরেছেন বাফুফে সভাপতি?

প্রতিশ্রুতি দেবেন ষোলোআনা। আর বাস্তব তো শূন্য। এতে মেয়েরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। সাফের পর আট মাস মাঠের বাইরে। তাই তো অভিমানে জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন স্বপ্না। নারী ফুটবলের সাফল্যের কারিগর গোলাম রব্বানী ছোটনও জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকছেন না। যা নিয়ে গর্ব করা যেত সেই নারী ফুটবলেও কি করুণ দশা নেমে আসবে? কথা দিয়ে কথা না রাখার ফল কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা টের পাওয়া যাচ্ছে। এখন যদি উঁচুমহল বিষয়টি না দেখে তাহলে নারী ফুটবলেও ধ্বংস নিশ্চিত।

 

 

সর্বশেষ খবর