পাকিস্তান ১৯৯২ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ ১৯৯৯ সালে। ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ শ্রীলঙ্কা চ্যাম্পিয়ন ১৯৯৬ সালে। রানার্সআপ দুবার ২০০৭ ও ২০১১ সালে। দুটি দেশই ক্রিকেট পরাশক্তি। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আজ মুখোমুখি হচ্ছে। দুই দলের বিশ্বকাপের চলতি আসরে দ্বিতীয় ম্যাচ আজ। হায়দরাবাদেই পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ম্যাচে আইসিসি সহযোগী দেশ নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছে ৮১ রানে। দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০২ রানে বিধ্বস্ত হয়েছে শ্রীলঙ্কা। দ্বীপরাষ্ট্রের বোলিংকে ছেলেখেলায় পরিণত করে তিন সেঞ্চুরিতে ৪২৮ রান করেছিল প্রোটিয়ারা। জবাবে দ্বীপরাষ্ট্রের ইনিংস থেমেছিল ৩২৬ রানে। বাবর আজমের পাকিস্তান আজ প্রথম জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামছে। দাসুন শানাকার শ্রীলঙ্কা খেলতে নামছে প্রথম হারের ব্যর্থতার খোলশ ছেড়ে বেরোতে। অবশ্যই দুই দলের সর্বশেষ ম্যাচটি আবার জিতেছিল শানাকা বাহিনী। কলম্বোয় এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে শেষ বলে শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি জিতেছিল ২ উইকেটে।
দুই দেশ বিশ্বকাপ খেলছে ১৯৭৫ সাল থেকে। প্রথম আসরেই মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সেবার ১৯২ রানের আকাশসমান ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান। পরের আসরে দেখা হয়নি দুই দলের। ১৯৮৩ সালে দুবার খেলেছে পরস্পরের বিরুদ্ধে। প্রথমবার ৫০ রানে এবং দ্বিতীয়বার ১১ রানে জয় পায় পাকিস্তান। ১৯৮৭ সালেও দুই দল দুবার পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলে। সেবারও পাকিস্তান জয় পায় যথাক্রমে ১৫ ও ১১৩ রানে। ১৯৯২ সালে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে হারায় ৪ উইকেটে। ২০১১ সালে পাকিস্তান হারায় ১১ রানে। ২০১৫ সালে খেলেনি। ২০১৯ সালের ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। দুই দেশ বিশ্বকাপে ৮ বার খেলেছে। পাকিস্তানের ৭ জয়ের বিপরীতে শ্রীলঙ্কার জয় নেই। সব মিলিয়ে দুই দল ১৫৬ বার খেলেছে পরস্পরের বিরদ্ধে। তাতে পাকিস্তানের জয় ৯২ এবং শ্রীলঙ্কার ৫৯। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সাওদ শাকিল ছাড়া বাকিরা কেউ বড় স্কোর করতে পারেননি। তবে পাকিস্তানের বোলাররা ভালো করেছেন। প্রোটিয়া বোলিংয়ের বিরুদ্ধে হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছেন কুশল মেন্ডিস (৭৬), চারিথ আশালাঙ্কা ৭৯ ও দাসুন শানাকা ৬৮ রান করেন।