নারী ফুটবল এখন ঝামেলা মুক্ত। কোচ পিটার বাটলারের প্রশিক্ষণে যোগ দেবেন না বলে যে ১৮ ফুটবলার বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। তারাও নতুন চুক্তি করে তাদের সিদ্ধান্ত বদল করেছেন। এর সঙ্গে তারা বেতনও বাড়িয়ে নিয়েছেন। এতে আবার জুনিয়ররা খুশি হতে পারেননি। যারা শৃঙ্খলা ভাঙল তাদের কি না পুরস্কৃত করা হলো তা মানতে পারছেন না। যাক এ নিয়ে তারা বড় ঝামেলা বাধায়নি। কষ্টের কথাটা তুলে ধরেছে এই যা। সব সমস্যার নিষ্পত্তি ঘটলেও কোচ বাটলার সুযোগ বুঝে প্রতিশোধ নিয়েছেন। প্রশ্ন উঠতে পারে এ কেমন? সামনে বাংলাদেশের জর্ডান সফর। ১৮ জন বিদ্রোহীদের মধ্য থেকেও ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে। রূপনা চাকমা, মণিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা, মারিয়া মান্ডা ও শামসুন্নাহার সিনিয়রকে ক্যাম্পে ডেকেছেন। থিম্পু থেকে তারা ফিরেও এসেছেন। তা না হলে চুক্তি ভঙ্গ হতো। ডাক পাননি জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, সানজিদা খাতুন, সুমাইয়া, কৃষ্ণা রানী সরকার ও মাসুরা পারভীন। কোচ বাটলার মূলত তাদের আলাদা দৃষ্টিতে দেখছেন। আন্দোলনে এরাই ইন্ধন জুগিয়েছেন এ ধারণা হেড কোচের।
সমস্যার সব যখন সমাধান হয়ে গেছে তখন আবার কোচ এ পথে হাঁটলেন কেন? এ নিয়ে বাটলারের সমালোচনা হচ্ছে। সাবিনা খাতুন ভুটান লিগে প্রথম ম্যাচেই ৯ গোল করে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। এরপরও তাকে ক্যাম্পে ডাকা হলো না কেন? দল গঠন করবেন কোচই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তিনি যদি স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় দেন তাহলে তো নতুন করে ঝামেলা বাধতে পারে।