নারী ফুটবলে বাংলাদেশের সম্মানজনক অবস্থানের পেছনে গোলাম রব্বানী ছোটনের অবদান স্বীকার করতেই হবে। মেয়েদের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে তাঁর প্রশিক্ষণে একাধিক ট্রফি জিতেছে বাংলাদেশ। সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নারী জাতীয় দলের প্রথম হার না মানা শিরোপা এসেছে তাঁরই প্রশিক্ষণে। সব মিলিয়ে ৯টি ট্রফি দেশকে উপহার দিয়েছেন তিনি। ছোটন এখন পুরুষ দলের কোচ হলেও সাফল্য এনে দিতে পারেননি। সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ পুরুষ চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁরই প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ খেলবে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত আসরে। আজই ‘এ’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ নেপাল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ম্যাচ শুরু হবে। গ্রুপে আরেক প্রতিপক্ষ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে ২১ সেপ্টেম্বর। ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, ভুটান ও মালদ্বীপ। পুরুষ বা নারী ফুটবলে নেপালকে বাংলাদেশের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বলা যায়। ম্যাচটি হবে সমানে সমান। কোচ ছোটন দেশ ছাড়ার আগে বলে গেছেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৭ আসরে বাংলাদেশ কখনো চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও এবার সেই শূন্যতা পূরণ করতেই নামবে।’ কলম্বোতেও তিনি বলেছেন, ‘যে কোনো টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নেপাল শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, জিততে হলে সেরাটাই দিতে হবে। প্রথম ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। আজ জিতলেই তাদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত। তখন শ্রীলঙ্কাকে হারাতেই হবে। তাই প্রথম ম্যাচটি আমাদের কাছে ফাইনালের মতো।’
প্রতিযোগিতাকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ ভালোই প্রস্তুতি নিয়েছে। সাত সপ্তাহ যশোর শামসুল হুদা ফুটবল একাডেমিতে অনুশীলন করেছেন ছেলেরা। যে কারণে দলের কম্বিনেশন দারুণ হয়েছে বলে মনে করেন ছোটন। দেখা যাক এবার পুরুষদের টুর্নামেন্টে সফল হতে পারেন কি না আলোচিত এই কোচ।