অ্যাশেজে ইংল্যান্ডকে এর আগেই দুই দুইবার হোয়াইটওয়াশ করেছে অস্ট্রেলিয়া। সিডনিতে জিততে পারলে ১৯২১ ও ২০০৭ সালের পর তৃতীয়বারের মতো ইংলিশদের ধবলধোলাই করার স্বাদ পাবেন ক্লার্করা। তবে এ ছাড়াও আজ সিডনিতে সম্পূর্ণ নতুন একটা রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাশেজ সিরিজের টানা পাঁচ টেস্টের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে তারা। অ্যাশেজের ইতিহাসে এর আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি।
টানা চার ম্যাচে জিতে ইতোমধ্যেই টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের পঞ্চম স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে গেছে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে অবনমন হয়েছে ইংল্যান্ডের। তারা তৃতীয় স্থান থেকে এক ধাপ নেমে চলে গেছে চতুর্থ স্থানে। শেষ ম্যাচ জিতে র্যাঙ্কিংয়ে আরেকটা লাফ দিতে চান ক্লার্করা।
অস্ট্রেলিয়ার টার্গেট অবশ্যই ৪-০ ব্যবধানটাকে ৫-০ করা। শেষ ম্যাচে কুকদের রান্না করেই তৃতীয়বারের মতো ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়ে মর্যাদার এই সিরিজ শেষ করতে চান ক্লার্করা। অপর দিকে ইংলিশ শিবিরে এখন শুধুই হতাশা। টানা তিন সিরিজ জিতে এবারও বিজয়ের আত্দবিশ্বাস নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন। কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো। টানা চার টেস্টে হার। ভাগ্যও যেন ইংলিশদের সহায় ছিল না। প্রথম ম্যাচের পর মানসিক সমস্যার কারণেই দেশে ফিরে যান তারকা ব্যাটসম্যান জোনাথন ট্রট। ব্যর্থতার কারণে অবসরের ঘোষণা দেন স্পিনার গ্রায়েম সোয়ান। ইনজুরিতে পড়েছেন মন্টি পানেসার। বাজে পারফরম্যান্সের জন্য দল থেকে বাদ পড়েন ম্যাট প্রায়র। তাই শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো ইংলিশদের জন্য কঠিনই হবে।
অন্যদিকে ফর্মের তুঙ্গে অসি ক্রিকেটাররা। বাজিমাৎ করে দিয়েছেন তো এক মিচেল জনসনই। চার ম্যাচেই নিয়েছেন ৩১ উইকেট। তিন ম্যাচেই হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। অথচ সিরিজের আগে এই জনসন দলে নেওয়া নিয়েই অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ককে। অথচ সেই জনসনই এখন অস্ট্রেলিয়ার প্রাণভোমরা। সিডনি টেস্টে আর মাত্র চার উইকেট নিতে পারলেই পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি পেসার হবে জনসন। আর সাত উইকেট নিলে ভেঙে ফেলবেন অসি পেসার বিল হুইটির ৩৭ উইকেট শিকারের রেকর্ড। এখন পর্যন্ত হুইটি যেকোনো পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি অসি বোলার। ১৯১১ সালে হুইটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩৭ উইকেট নিয়েছিলেন। এক সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার অস্ট্রেলিয়ার ক্লারি গ্রিমেট, শিকার করেছেন ৪৪ উইকেট। কোনো রেকর্ড হচ্ছে কি হচ্ছে না, তা নিয়ে যেন কোনো মাথাব্যথা নেই মাইকেল ক্লার্কের। তার একটাই লক্ষ্য জয়, হোয়াইটওয়াশ।