প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে বার্সেলোনার কাছে নাকাল হলো ম্যানচেস্টার সিটি। মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠে তারা ২-০ গোলে হেরে গেছে লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের কাছে।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়ার্ধে দশ জনের দলে পরিণত হওয়া সিটি লিওনেল মেসির গোলের পর আর দাঁড়াতেই পারেনি। উল্টো দানি আলভেসের গোলে শেষ আটে ওঠার স্বপ্ন মিলিয়ে গেছে ইংলিশ ক্লাবটির। কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠতে হলে তাদের আগামী ১২ মার্চ ক্যাম্প নউতে ফিরতি লেগের ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে এই বার্সেলোনাকেই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই জেতা ম্যান সিটি চলতি মৌসুমে দারুণ ফর্মে ছিল ঘরে। তবে প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা গত ছয় মৌসুমেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনাল খেলেছে, ২০০৬ সাল থেকে শিরোপা জিতেছে তিনবার। মঙ্গলবারও বুটের কারসাজিতে ইতিহাদে রেখে গেল যোগ্যতার চিহ্ন।
ম্যাচের ৫৩ মিনিটে ম্যান সিটির মার্তিন দেমিচেলিস আর্জেন্টিনা সতীর্থ মেসিকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন। ওই ফাউলের জন্য পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন মেসি। আর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে নেইমারের পাস থেকে তার ব্রাজিল সতীর্থ দানি আলভেসের গোল ম্যান সিটির শেষ আটে ওঠার সম্ভাবনা আরো কঠিন করে দেয়।
হারের পর রেফারির ওপর সব ক্ষোভ ঢেলে দেন সিটি কোচ মানুয়েল পেল্লেগ্রিনি। বললেন, “আমি ম্যাচ শেষে তার সঙ্গে কথা বলেছি। ম্যাচটার ফল ঠিক করে দিয়ে তারতো খুশি থাকা উচিত। দেমিচেলিসের ফাউলে ওই পেনাল্টির আগে বার্সেলোনা গোলের কোনো সুযোগই পায়নি। রেফারি নিরপেক্ষ ছিলেন না।”
শিষ্যদের সাফল্যে আনন্দিত বার্সা কোচ জেরার্দো মার্তিনো ঘরের মাঠেও সিটিকে নিয়ে সতর্ক থাকার কথা বললেন। বলেন, “গ্রুপ পর্যায়ে বার্য়ান মিউনিখের কাছে ঘরের মাঠে সিটি হারলেও অ্যাওয়ে ম্যাচে কিন্তু তারা জিতেছিল। তারা খুব বিপজ্জনক প্রতিপক্ষ।”