প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ব্রাজিলকে নিয়ে মোটেও ভাবছেন না চিলির ফরোয়ার্ড আলেঙ্সি সানচেজ। তবে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন রেফারির আচরণ নিয়ে। এবারের বিশ্বকাপে সেই প্রথম ম্যাচ থেকেই রেফারিরা যেভাবে স্বাগতিকের পক্ষ নিচ্ছে তা নিয়ে খুবই ভয় পাচ্ছেন সানচেজ। চিলির তারকা মনে করেন, হেরে গেলেও তার খুব একটা খারাপ লাগবে না যদি রেফারি সৎ আচরণ করেন। কিন্তু উল্টোটা হলে তিনি খুবই কষ্ট পাবেন।
চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। এক সময় ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়ে যায়। কিন্তু দুর্দান্ত খেলছিল ক্রোয়েশিয়া। তবে হঠাৎ করেই একটি ব্রাজিলের পক্ষে একটি বাজে পেনাল্টি দেন রেফারি। এরপর ম্যাচ থেকেই ছিটকে পড়ে ক্রোয়েশিয়া। রেফারির একটি সিদ্ধান্তই বদলে দিতে পারে ম্যাচের ভাগ্য। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগের দিন মিডিয়াকে সানচেজ বলেন, 'আমি জানি ব্রাজিলের ডিফেন্স সেরা। দুর্দান্ত কিছু ফুটবলার এই দলে রয়েছেন। আমার সৌভাগ্য যে ব্রাজিল ও নেইমারের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পেয়েছি। সত্যিই আমি অভিভূত। তবে আমার চিন্তা কেবল রেফারিকে নিয়ে।'
ব্রাজিলে খেলেন সানচেজের দুই বার্সা সতীর্থ নেইমার ও দানি আলভেজ। দুই জনের সঙ্গে দারুণ খাতির তার। আজকের ম্যাচে তাদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে বলে খুবই আনন্দিত সানচেজ। তিনি বলেন, 'ক্লাব সতীর্থদের বিরুদ্ধে খেলব আমি। ভাবতেই দারুণ লাগছে। আমার বিশ্বাস ব্রাজিলের, বিরুদ্ধে ম্যাচটি বেশ উপভোগ্যই হবে।'
ব্রাজিল ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ এটা মানলেও নিজের দল চিলিও কোনো অংশে কম নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। সানচেজ বলেন, 'যদি আমরা নিজেদের সেরা খেলাটা দেখাতে পারি, তবে ব্রাজিলকে হারানো খুব কঠিন হওয়ার কথা নয়। তার মানে এই নয়, আমি ব্রাজিলকে সম্মান করছি না। জানি ওদের দলে বিশ্বমানের তারকা আছে বেশ কয়েকজন। তাতে কি? আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে নিজেদের পারফরম্যান্সের দিকেই।' ২০১০ সালের বিশ্বকাপেও দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্রাজিলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল চিলির। সেরা সানচেজরা হেরেছিল ৩-০ গোলে। এবার নেইমাররা খেলবেন ঘরের মাঠে। তাই চিলির জন্য জয়টা কঠিন হয়ে গেল না? সানচেজ বলেন, 'সেটা সম্পূর্ণ আলাদা এক ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার পরিস্থিতি আর ব্রাজিলের পরিস্থিতি এক নয়। আমরা পেছনের দিকে তাকাতে চাই। আমার লক্ষ্য কেবল এই ম্যাচটি ঘিরে। যে কোনো মূল্যে জয় নিয়েই আমরা মাঠ ছাড়তে চাই।'