শ্রীলঙ্কা জিতুক কিংবা হারুক- সেদিকে যেন কারও খেয়াল নেই! সবার দৃষ্টিজুড়ে ছিল জয়াবর্ধনের ব্যাটিং। তাই গতকাল সকালে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের টস জয়ের পর সবাই যেন উল্লসিত হয়ে উঠেন, এমনকি কুমার সাঙ্গাকারার দ্রুত আউট হওয়ার পরও অনেকে স্বস্তি প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এরা কিন্তু পাকিস্তানের নয়, শ্রীলঙ্কারই সমর্থক! সবাই আসলে উদগ্রীব ছিলেন মাহেলা জয়াবর্ধনের ব্যাটিং দেখার জন্য।
ঘরের মাঠে 'লোকাল হিরো'র বিদায়ী ম্যাচ বলে কথা! আবেগে টইটম্বুর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব ময়দান (এসএসসি)। জয়াবর্ধনে ব্যাট হাতে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়াল গ্যালারির সমর্থকরা। দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে 'গার্ড অব অনার' দিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। কিন্তু এ কী অবস্থা! উইকেটে গিয়ে থিতু হতে না হতেই তো বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল জয়াবর্ধনের। আশার ফানুসটা ওড়ার আগেই ফুটুস! স্পিনার সাঈদ আজমলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে মাত্র ৪ রান করেই বিদায় নিতে হলো। মাহেলার দ্রুত আউট হওয়ায় হতাশ তার ভক্তরা। হতাশ লঙ্কান সাবেক ক্রিকেটাররাও। সাবেক তারকা ক্রিকেটার রাসেল আরনল্ডের টুইট, '৪ রানেই আউট মাহেলা। এখন দ্বিতীয় ইনিংসের দিকে তাকিয়ে আছি। আমি চাই পরের ইনিংসে অন্তত ৪০ রানে অপরাজিত থাকুক মাহেলা কিংবা আউট হলে অন্ততপক্ষে ৯০ রান করুক।' আরনল্ডের এই আকুতির কারণ, শেষ পর্যন্ত জয়াবর্ধনের ব্যাটিং গড় যাতে ৫০-এর উপরে থাকে। কালকের দিনটি মাহেলা জয়াবর্ধনের ছিল না, ছিল না শ্রীলঙ্কারও। তাই দেখা যায়, জয়াবর্ধনে আউট হওয়ার পর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে লঙ্কানদের ইনিংস। দুর্দান্ত শুরুর পরও দিনশেষে হতাশার চিত্র! শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ২৬১ রান করতেই হারিয়ে ফেলে ৮ উইকেট। কাল লঙ্কানরা প্রথম দুই সেশনে মাত্র দুই উইকেট হারালেও শেষ সেশনে হারিয়েছে ৬ উইকেট। সর্বোচ্চ ৯২ রান এসেছে ওপেনার থারাঙ্গার ব্যাট থেকে। কাল ৩৯ রানে লঙ্কান দলপতি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস আউট হলেও তিনি স্পর্শ করেছেন ৩ হাজার রানের মাইলফলক।