ঘটনাটা কাকতালীয়ই বটে! ২৮ বছর আগে সব শেষ কোরিয়াতেই জিতেছিল বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ার এক দলের বিরুদ্ধে। এবারও কোরিয়াতেই ফুটবলে আরেক জয়, প্রতিপক্ষ আরেক দক্ষিণ এশিয়ার দল। শুধু দুই শহরের ও দলের পার্থক্য। ১৯৮৬ সালে সিউলে বাংলাদেশ জিতেছিল নেপালের বিরুদ্ধে, এবার ইনচনে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। তবে সাদৃশ্য আছে আরও, দুই ম্যাচেই গোলের ব্যবধান ১-০। ওই ম্যাচেও বাংলাদেশের জয়সূচক গোলটি এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে, এবারও তাই। তবে সাদৃশ্য কিংবা বৈসাদৃশ্য -অতসব ভাবার সময় নাই। ২৮ বছর অপেক্ষার অবসান ঘটেছে বাংলাদেশের, এটাই বড় কথা! কাল ৮৩ মিনিটে করা মামুনুলের গোলটি ছিল যেন ‘চাতকের’ দীর্ঘ অপেক্ষার সেই ‘বৃষ্টির ফোঁটা’!
এক গোলই বদলে দিল সবকিছু। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১-০ গোলের আকাক্সিক্ষত এই জয়ই সমর্থকদের মনে বইয়ে দিল শান্তির সুবাতাস। সেই সঙ্গে প্রথমবারের মতো শেষ ষোলতে যাওয়ার রাস্তাটাও অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেল। পরের দুই ম্যাচে উজবেকিস্তান কিংবা হংকংয়ের মধ্যে এক দলকে হারাতে পারলেই হবে। যদিও উজবেকদের বিরুদ্ধে জয়টা ‘মিরাকল’ ছাড়া অসম্ভব! কেননা বর্তমানে কোরিয়ানদের টপকে তারাই এশিয়ার তৃতীয় পরাশক্তি। তবে আফগানদের পরাজিত করার পর হংকংকে হারানোটা কঠিন হওয়ার কথা নয়। কেননা ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তান ১২৯তম আর হংকং ১৬১তম। তাই বাংলাদেশ ১৭০তম অবস্থানে থেকেও আফগানদের পরাজিত করাটা বড় ঘটনাই! অবশ্য অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম দেশ ত্যাগের সময়ই ‘সুখবর’ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘আফগানিস্তান আহামরি খুব ভালো দল নয়।’ কিন্তু ২৮ বছরের হতাশা কি আর কথায় দূর হয়! তাই বুঝি নিজেই গোল করে তা দেখিয়ে দিলেন দেশসেরা এই তারকা ফুটবলার। মামুনুল গোল পাওয়ায় হয়তো খুশি হয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলীও। কেননা কয়েক দিন আগেই তার দল অ্যাথলেটিকো ডি কলকাতার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে মামুনুলের।
ইনচন মুনহাক স্টেডিয়ামে কাল শুরু থেকেই প্রাধান্য ছিল বাংলাদেশের। রক্ষণভাগকে জমাটবদ্ধ করে বার বার আক্রমণে যাচ্ছিল মামুনুলরা। কিন্তু স্ট্রাইকারের ব্যর্থতায় বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট হয়ে যায় প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধেও মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণে রাখে বাংলাদেশ। কিন্তু সুযোগ তৈরি করার পরও কাক্সিক্ষত গোলই হচ্ছিল না। হয়তো ড্রই হতে যাচ্ছে- এমনই ভাবছিল দুই দলের সমর্থকরা। কিন্তু মামুনুলের ভাবনায় ছিল, শেষ অবধি চেষ্টা করে যাওয়ার। শেষ পর্যন্ত ৮৩ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে গোল আদায় করেন অধিনায়ক। শেষ দিকে বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও গোল পরিশোধ করতে পারেনি আফগানরা। ২০১০ সালে এসএ গেমসে ঘরের মাঠে এই আফগানিস্তানকে হারিয়েই স্বর্ণ জিতেছিল বাংলাদেশ। এশিয়ান গেমসের ২১তম ম্যাচে এটি লাল-সবুজদের তৃতীয় জয়। প্রথম জয়টি এসেছিল ৮২-তে দিল্লি এশিয়ান গেমসে, মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে।
এবার বাংলাদেশের মিশন হংকং! শুধুমাত্র শেষ ষোলতে যাওয়ার জন্যই নয়, ওই ম্যাচটা লাল-সবুজদের জন্য প্রতিশোধেরও। কেননা চার বছর আগে গুয়াংজু এশিয়াডে হংকংয়ের বিরুদ্ধে ৪-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার সময় এসেছে, পুরোনো হিসেবে চুকে দেওয়ার। দেশবাসীও রয়েছেন আরেকটি সুখবরের প্রতীক্ষায়! গ্রুপের অপর ম্যাচে উজবেকিস্তান ও হংকং ১-১ গোলে ড্র করেছে।
শিরোনাম
- বাগেরহাটে ৮৩০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ
- খাগড়াছড়িতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চেক বিতরণ
- ইউটিউব মুছে দিল ইসরায়েলি অপরাধের ৭০০ ভিডিও
- এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজকে কারাগারে
- বিএনপিও গণভোট চায়, তবে একই দিনে
- বাগেরহাটে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক
- হাসিনা-জয়-পুতুলের দুর্নীতির মামলায় ৭৯ সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া শেষ
- গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
- বিসিএস পশুসম্পদ ক্যাডারে সমন্বিত মেকআপ কোর্সের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
- খুলনায় পুলিশের ৫৯তম টিআরসি ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
- বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রসহ দুইজন নিহত
- স্ত্রী ও ছেলেসহ সাবেক মন্ত্রী মায়ার ৮১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- ইসির কাছে ১৪ প্রস্তাবনা ইউএনডিপি প্রতিনিধিদলের
- স্ত্রী-কন্যাসহ র্যাবের সাবেক ডিজি হারুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১১
- প্রাথমিকের শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারবেন না ধূমপায়ীরা
- চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের দুই কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত
- ঢাবিতে শীতকালীন বইমেলা শুরু
- জামিন পেলেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম
- এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ ১৬ নভেম্বর
অবশেষে স্বস্তির জয়
বাংলাদেশ ১:০ আফগানিস্তান
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর