শক্তির বিচারে দুটি দলেরই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা। কিন্তু গ্রুপিংয়ের কারণে আজ শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ফেডারেশন কাপ ফুটবলে সেমিফাইনালে লড়বে। বিকাল সোয়া ৫টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে। মৌসুমে প্রথম হাইভোল্টেজ ম্যাচ। ম্যাচকে ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ অনেক। বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে দর্শকদের উপস্থিতি দেখা গিয়েছিল ভালোভাবেই। কিন্তু ফেডারেশন কাপে গ্যালারিতে সে দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না। দেশের সেরা দুদলের লড়াই বলে আজ দর্শক থাকবে তা আশা করা যাচ্ছে। গত মৌসুমে ফেডারেশন কাপ ছাড়াও পেশাদার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শেখ জামাল। অন্যদিকে ঘরোয়া আসরে শেখ রাসেলের সাফল্যের ভাণ্ডার ছিল শূন্য। বসুন্ধরা গ্রুপ দায়িত্ব নেওয়ায় এবার সাফল্য পেতে শেখ রাসেল তারকা খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গড়েছে। জাতীয় দলের সাতজন খেলোয়াড়ই শেখ রাসেলের। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ক্লাবের চেয়ারম্যান হওয়ায় শেখ রাসেলের পরিবেশই অন্যরকম। প্র্যাকটিসের জন্য এক সময় যাযাবরের ঘুরতে হলেও এখন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সুন্দর পরিবেশে মিঠুন এমিলিরা নিজেদের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন।
শেখ জামালেও একাধিক তারকা খেলোয়াড় রয়েছে। দুদলই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেডারেশন কাপে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছিল। ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে সৌভাগ্যক্রমে সাডেন ডেথে জয়ী হয়ে সেমিফাইনালে উঠে শেখ জামাল। অন্যদিকে হালকা মেজাজে খেলেও শেখ রাসেল ২-০ গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে দেয়। যারাই আজ জিতবে তারা ৫ মার্চ মোহামেডান-মুক্তিযোদ্ধা বিজয়ী দলের সঙ্গে ফাইনাল খেলবে। কিন্তু আজকের হাইভোল্টেজ সেমিফাইনালে জিতবে কে। আসলে এমন দুদল লড়ছে তাতে হিসাব করে বের করা মুশকিল ফাইনালে যাবে কে? ঘরোয়া মৌসুম শুরুর আগে শেখ রাসেল তাজিকিস্তানে এএফসি কাপ খেলে আসে। পরবর্তী রাউন্ডে উঠতে না পারলেও শেখ রাসেলের পারফরম্যান্স তাজিক দর্শকদের মুগ্ধ করে ছাড়ে। অথচ আসরে বঙ্গবন্ধু কাপে খেলার কারণে বেশ ক'জন তারকা ফুটবলার দলের সঙ্গী হতে পারেনি। ফেডারেশন কাপের শুরুটাও হয়েছিল দারুণভাবে। শুরুতে উত্তর বারিধারাকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে। মৌসুমে প্রথম ম্যাচ জয় দিয়ে শুরু করাতে ক্লাব চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীর খেলোয়াড়দের ৫ লাখ টাকা বোনাস দেন। প্রথম ম্যাচ জিতে বোনাস এই ঘটনা বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে বিরলই বলা যায়। এতে খেলোয়াড়রা দারুণভাবে উজ্জীবিত। যদিও গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভালো খেলেও মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে ড্র করে। কিন্তু কোচ দ্রাগান দৃঢ়ভাবে বলেছেন সেমিতে আমার ছেলেরা ভালো খেলা উপহার দিয়ে ফাইনালে যাবে। অধিনায়ক মিঠুন বলেন, শেখ জামালের শক্তি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আমাদের প্রতিটি পজিশনে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় রয়েছে। ফাইনালে যেতে হলে আজ (কাল) সবাইকে ভালো খেলতে হবে। অন্যদিকে শেখ জামালের অধিনায়ক নাসির বলেন, দুদলের শক্তিই প্রায় সমান। যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। আশা রাখি দর্শকরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন।