ওয়াহাব রিয়াজের ছুড়ে দেওয়া বলে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে এলটন চিগুম্বুরার ক্যাচ লুফে নিয়েই লাফিয়ে উঠলেন উমর আকমল। এই দৃশ্য অবলোকনে মিসবাহ-আফ্রিদিরাও উল্লাসে ফেটে পড়লেন। স্বাভাবিকভাবে জিম্বাবুয়ের মতো এক দলের বিপক্ষে ২০ রানের জয়ে ১৯৯২'র বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের এতটা উচ্ছ্বাস দৃষ্টিকটূই মনে হতে পারে। কিন্তু অধিনায়ক মিসবাহই কেবল বলতে পারেন, এ জয়ের গুরুত্ব কতটা। ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টানা দুই হারে পাকিস্তানের শেষ আটে উঠাটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। তবে সেই অনিশ্চয়তাকে কিছুটা হলেও দূর করলেন মিসবাহরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০ রানের জয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা, আয়ারল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ বাকি পাকিস্তানের। এর মধ্যে যে কোনো একটা পরাজয়ই পাকিস্তানের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছা কঠিন করে তুলতে পারে। গতকাল টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ক মিসবাহর ৭৩ এবং ওয়াহাব রিয়াজের ৫৪ রানে পাকিস্তান ২৩৫ রান সংগ্রহ করে। এই সংক্ষিপ্ত সংগ্রহের পরও পাকিস্তানের বোলাররা দলকে ২০ রানের জয় উপহার দেন। ওয়াহাব রিয়াজ এবং মোহাম্মদ ইরফান ৪টি করে উইকেট শিকার করে দলকে জয় এনে দেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন ব্রেন্ডন টেইলর। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেন ব্যাট এবং বল হাতে সফল ওয়াহাব।