নিউজিল্যান্ডের প্রধান স্ট্রাইক বোলার টিম সাউদি মনে করেন, অস্ট্রেলিয়াকে কীভাবে তাদের মাটিতে হারাতে হবে সেটা কিউইদের জানাই আছে। অস্ট্রেলিয়া যত শক্তিশালীই হোক ফাইনালে তাদের হারিয়েই বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হবে নিউজিল্যান্ড! সাউদি বলেন, 'এখন শুধু স্বপ্নকে সত্যি করার অপেক্ষা। আমরা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই তাদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদটা পেতে মুখিয়ে আছি। আমরা ক্রিকেটার সবাই সবার সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে।'
শ্বাসরুদ্ধকর সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। ব্ল্যাক ক্যাপসরা এবার অপরাজিত থেকেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। আট ম্যাচের আট জয় নিয়ে ফাইনালে ওঠায় নিউজিল্যান্ডের আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি বলে মনে করেন সাউদি। গ্রুপ পর্বে এই অস্ট্রেলিয়াকেও হারিয়েছে কিউইরা। তবে সেটা ছিল ঘরের মাঠে। এবার খেলা হবে মেলবোর্নে। তবে এ নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন তারা। সাউদি বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলা বলে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মাঠ কোনো ব্যাপার না। নির্দিষ্ট দিনে কারা ভালো খেলছে সেটাই আসল।'
এবারের বিশ্বকাপে বোলিং-ব্যাটিং দুই বিভাগেই ক্যারিশমা দেখাচ্ছেন কিউইরা। ব্যাটিংয়ে ম্যাককালাম, গাপটিল, টেলর, অ্যান্ডারসন আর বোলিংয়ে বোল্ট ছাড়া সাউদিও হতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার জন্য আতঙ্ক। তবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ড্যানিয়েল ভেট্টরি। এমসিজেতে খেলার অভিজ্ঞতা তারই সবচেয়ে বেশি। ১৯৯৭ সালের পর এই ভেন্যুতে সাতটি ম্যাচ খেলেছে নিউজিল্যান্ড। সব ম্যাচেই খেলেছেন ভেট্টরি। এ ছাড়া দুটি করে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে অধিনায়ক ম্যাককালাম, রস টেলর ও মার্টিন গাপটিলের। অভিজ্ঞতা রয়েছে গ্রান্ট ইলিয়ট, টিম সাউদি ও কাইল মিলসেরও। তবে মেলবোর্নে নিউজিল্যান্ড সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিল ২০০৯ সালে। ওই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে কিউইরা। এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সাউদি বলেন, 'যদিও আমরা এমসিজেতে ম্যাচ খেলেছি অনেক আগে। কিন্তু ২০০৯ সালের সেই মধুর স্মৃতি আমাকে রোমাঞ্চিত করে।' দুই দেশের শত্রুতা সম্পর্কে সাউদি বলেন, 'খেলার মাঠের চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে অন্য কিছু চিন্তা করার উপায় নেই।'