উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে যাওয়ার জন্য প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ হেরে আসা রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকে সে স্বপ্ন প্রায় পূরণ করে ফেলেছিল কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে প্রাণপণে লড়াই করলেও ১-১ গোলে ড্র হয়। আর এতে করে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে ১২ বছর পর ফাইনালে পৌঁছে যায় জুভেন্টাস। ফাইনালে জুভেন্টাসের প্রতিপক্ষ আরেক স্প্যানিশ ক্লাব বার্সালোনা।
বুধবার মধ্যরাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে প্রথম মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু গ্যারেথ বেলদের সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি। এরপর ষষ্ঠ মিনিটে দ্বিতীয় সুযোগটি হাতছাড়া করেন করিম বেনজেমা। ম্যাচের ১০তম মিনিটে বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি-কিক পেয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু কাক্ষিত গোলের দেখা পাননি রিয়াল।
তবে ম্যাচের ২৩তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর হামেস রদ্রিগেসকে জর্জো কিয়েল্লিনি ফাউল করলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। পেনাল্টি থেকে গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেয় রোনালদো। এরপরও বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল রোনালদো-বেনজেমারা। কিন্তু বুফনের দৃঢ়তায় ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি তারা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে ইতালির চ্যাম্পিয়নরা। পাল্টা-আক্রমণে তাদের ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করে কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা খুব একটা সফল হয়নি।
৫৭তম মিনিটে বার্নাবেউকে স্তব্ধ করে দেন মোরাতা। পগবার হেড থেকে বল পান এই স্ট্রাইকার। বুক দিয়ে বল নামিয়ে জোরালো শটে কাসিয়াসকে পরাস্ত করেন তিনি।
এরপর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চালালেও কোনো দল আর গোলের দেখা পায়নি। ফলে এক গোলে এগিয়ে থেকে রিয়ালকে কাঁদিয়ে ফাইনালে পৌছে যায় জুভেন্টাস। আগামী ৬ জুন বার্লিনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলবে তারা।
এর আগে, ১৯৮৫ ও ১৯৯৬ সালে শিরোপা জেতা জুভেন্টাস তাদের সাত ফাইনালের শেষটি খেলেছিল ২০০৩ সালে।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ মে, ২০১৫/মাহবুব