টাইগার ও প্রোটিয়াদের প্রথম টেস্টে 'প্রধান শত্রু' হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। ম্যাচের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের প্রায় ৫০ ওভার নষ্ট হওয়ার পর চতুর্থ দিনের পুরোটা পরিত্যক্ত করতে হয় ক্রিকেটের প্রধান শত্রু বৃষ্টির কারণে। চট্টগ্রামে টানা বর্ষণের কারণে শঙ্কার মুখে পড়েছে এ ম্যাচের পঞ্চম দিনের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী ম্যাচের পঞ্চম দিনও চোখ রাঙাবে বৃষ্টি।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম জানান, শনিবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। কোথায় কোথায় বজ পাতসহ অস্থায়ী দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। বিকাল ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে চট্টগ্রাম আবহওয়া অফিস।' চট্টগ্রাম টেস্টে এগিয়ে থেকেও বৃষ্টির বাধার কারণে কোনো ফলাফল আসছে না তা এক প্রকার নিশ্চিত। প্রোটিয়াদের কোণঠাসা করেও জিততে না পারায় হতাশ টাইগার শিবির। বর্ষাকালে দেশের সিরিজ আয়োজন করা নিয়ে টাইগার সমর্থকদের ক্ষোভ দীর্ঘ দিনের। গতকাল হোটেল রেডিসনে বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন বর্ষাকালে সিরিজ আয়োজন প্রসঙ্গে বলেন, সারা বছর খুব ব্যস্ত সময় পার করে অন্য দল। তাই তাদের সঙ্গে মিল রেখে সিরিজ শিডিউল নির্ধারণ করতে হয়। ফলে বর্ষাকালে বা শীতকালে সিরিজ পড়ছে কিনা সেটি দেখা হয় না। কারণ ভালো দলগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে সিরিজ খেলতে চাইত না। এখন তারা আমাদের সঙ্গে খেলছে। তাই বর্ষাকালে শিডিউল দিতে হয়েছে।
ম্যাচের চতুর্থ দিনের খেলা পরিত্যক্ত হওয়ার পরও টাইগাররা অনুশীলন করলেও প্রোটিয়ারা সারা দিন হোটেলেই ছিলেন। চতুর্থ দিনের খেলা পরিত্যক্ত হওয়ায় কোনো কাজ না থাকায় দলের কেউ ঘুমিয়ে কাঁটিয়েছেন।