চ্যাম্পিয়ন ট্রফি খেলা অনিশ্চিত ভেবে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে আগ্রহী ছিল পাকিস্তান। অথচ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ জয়ের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি খেলা নিশ্চিত হওয়ার সেই পাকিস্তানই কি না সিরিজ বাতিল করলো। আর পিসিবি এমন সিদ্ধান্তে কপাল পুড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ফলে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা হচ্ছে না ক্যারিবিয়ানদের।
গত এপ্রিলে বাংলাদেশের কাছে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে নেমে যায় পাকিস্তান। ফলে ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে আজহার-হাফিজদের। কারণ, জনপ্রিয় ওই টুর্নামেন্টে খেলতে হলে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে আটের মধ্যে থাকতে হতো ওয়াকার ইউনূসের শিষ্যদের। এ জন্য তাদের সামনে দুটি অপশন ছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও আগস্ট-সেপ্টেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
এরই মধ্যে জুনে ভারতের বিপক্ষে ২-১-এ ওয়ানডে সিরিজ জিতে র্যাঙ্কিংয়ের সাত নম্বরে উঠে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এতে শেষ দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা পেতে লড়াইটা স্থির হয়ে যায় ওই সময়ে র্যাঙ্কিংয়ে নয় নম্বরে থাকা পাকিস্তান ও আটে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে। সেপ্টেম্বরের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ওয়ানডে সিরিজ ছিল না। বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিত হওয়ার পরই হঠাৎ পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে মিলে আগস্টে ত্রিদেশীয় সিরিজের পরিকল্পনা করে।
তবে গত সপ্তাহে এক ম্যাচ হাতে রেখেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-১-এ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। আর এতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে র্যাঙ্কিংয়ের আটে উঠে আসার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত হওয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজ বাতিল করেছে পাকিস্তান। তবে ত্রিদেশীয় সিরিজ না খেললেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে হাতো ইমরান খানের উত্তরসূরিদের। আজ শনিবার সেটাও স্থগিত করল পাকিস্তান। এই সিরিজটি কেন স্থগিত, তার নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানায়নি পিসিবি।
পিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকইনফো’কে বলেন, ‘সর্বসম্মতিক্রমে আন্তরিকতার সঙ্গেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিরিজটি আগস্ট-সেপ্টেম্বরের বদলে অন্য কোনো সময়ে আয়োজনের জন্য দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড আলোচনা করবে।’
তবে পিসিবি সিরিজ ও ত্রিদেশীয় সিরিজ স্থগিত করার ব্যাখ্যা না দিলেও কারণটা যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, তা এখন সবার কাছেই পরিষ্কার। কারণ, যদি পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি হেরে যায়, এর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে হারে, তাহলে আবারও অনিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এ শঙ্কা থেকেই তারা সিরিজটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ পাকিস্তানের ক্রিকেট কূটচালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্বপ্ন শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ জুলাই, ২০১৫/মাহবুব