পেশাদার ফুটবল লিগে শিরোপা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এখন শুধু উৎসবের অপেক্ষায় রয়েছে তারা। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে হারানোর পরই মূলত শিরোপার রাস্তা পরিষ্কার হয়ে যায় জামালের। এই ম্যাচে হারলে শিরোপা লড়াই উত্তেজনায় রূপ নিত। দুর্ভাগ্য বলতে হয় শেখ রাসেলের। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে ম্যাচে ৩-২ গোলে এগিয়ে ছিল এমিলি-মিঠুনরা। শেষ তিন মিনিটে রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষকের ভুলে ২ গোল হজম করে হার মানতে হয় শেখ রাসেলেকে। অথচ ম্যাচ জিতলে তাদের শিরোপা জেতার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠত। কেননা সামনে শেখ রাসেলের বড় কোনো প্রতিপক্ষ ছিল না। যাক ফুটবলে এমনইভাবে কারও কপাল খুলে আবার কারও মন্দ হয়ে যায়। শেখ রাসেলের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভাগ্যক্রমে জয় পাওয়ার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে মামুনুলরা। এই জয়ে শেখ জামালের গতিই অন্য রকম। টানা চার ম্যাচ হারলে তাদের শিরোপার সম্ভাবনা ভেস্তে যাবে। সত্যি বলতে কি ফুটবলে কখন কি ঘটে বলা না গেলেও শেখ জামাল দল হিসেবে এতটা দুর্বল নয় যে এ অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটবে। দল হিসেবে তারা কতটা সতর্ক তা প্রমাণ মিলেছিল কোচ আফুসির কণ্ঠে। শেখ রাসেলকে হারানোর পর তিনি বলেছিলেন, এখনো উল্লাসের সময় আসেনি। সামনে বিগ ম্যাচ পড়ে আছে। শিরোপা জিততে হলে সামনের ম্যাচগুলোতেও ভালো খেলতে হবে। রাসেলকে হারানোর পর জামালের ম্যাচ বাকি ছিল ব্রাদার্স, মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে। মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে জয় পেলেও প্রথম পর্বে ব্রাদার্স, মোহামেডানের সঙ্গে ড্র আর ঢাকা আবাহনীর কাছে হেরে গিয়েছিল। সুতরাং শেখ রাসেলকে হারিয়ে যতই উজ্জীবিত থাকুক না কেন বাকি ম্যাচগুলো নিয়ে কোচ আফুসি একটু হলেও টেনশনে ছিলেন। কারণ পর পর চার ম্যাচে হারাটা একেবারে অপ্রত্যাশিত কিছু ছিল না। কোচ বার বার শিষ্যদের সতর্ক করে দিয়েছেন কোনো অবস্থায় পরবর্তী ম্যাচগুলো হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। শিরোপা জিততে শেখ জামাল কতটা মরিয়া গতকাল ব্রাদার্সের বিপক্ষে লড়াইয়ে প্রমাণ মিলে। সত্যি বলতে কি প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্রাদার্স যত দুর্বল হোক না কেন আগের দুই ম্যাচে তারকা ভরা শেখ জামালকে ছেড়ে কথা বলেনি। ফেডারেশন কাপে দুর্ভাগ্যক্রমে টাইব্রেকারে হেরেছিল। লিগে ড্র। তাই ব্রাদার্সকে যোগ্য প্রতিপক্ষ ভেবেই মাঠে নেমেছিল। সতর্ক হয়ে খেলাতে ফলও হয়েছে তেমন। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে ৫-১ গোলে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়ে ১৭ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট সংগ্রহ করল। বিজয়ী দলের ল্যান্ডিং ৩ গোল দিয়ে হ্যাটট্রিক করেন। বাকি ২টি গোল দেন ডার্লিংটন। ব্রাদার্সের সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন অগাস্টিন। তিন ম্যাচে এখন আর একটা ম্যাচ জিতলেই মান্যবর প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে শেখ জামাল। অবশ্য শেখ রাসেলের এখনো শিরোপা জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে শেখ রাসেলকে যেমন পরবর্তী পাঁচ ম্যাচেই জিততে হবে। আর জামালকে হারতে হবে তিন ম্যাচ। কিন্তু শেখ জামাল যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে তাতে শেষ মুহূর্তে টানা তিন ম্যাচ হারাটা অবিশ্বাস্যই বলা যায়। তাই জামাল এখন উৎসবের প্রস্তুতি নিতেই পারে।
শিরোনাম
                        - সারা দেশে পুলিশের অভিযান, গ্রেফতার ১৬৪১
 - বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পরই বগুড়ায় আনন্দ-উৎসব
 - মিশরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলো ‘ইত্তেহাদ’ বার্ষিক অনুষ্ঠান ২০২৫
 - বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্কের সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
 - নোয়াখালীতে ট্রাক চাপায় তিন যাত্রী নিহত
 - স্ত্রীকে ফেরাতে না পেরে প্রেমিককে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার
 - যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার
 - চট্টগ্রামে অস্ত্র উদ্ধার মামলায় একজনের ১৭ বছর কারাদণ্ড
 - মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল থেকে বিরত থাকার নির্দেশ সেলিমুজ্জামানের
 - ‘ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মৃত্যুদণ্ড’ বিল পাসের পথে ইসরায়েলি সংসদ
 - বেসরকারি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে
 - রাজবাড়ীতে ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধে মানববন্ধন
 - জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনের নতুন তালিকা প্রকাশ
 - অবৈধ সুবিধা দিলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
 - রাজধানীতে গার্মেন্টস কর্মীর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
 - মেক্সিকোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা পেরুর
 - মনোনয়ন পেয়ে যে বার্তা দিলেন ইশরাক
 - ১১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বন্ধের হুমকি আদানি পাওয়ারের
 - আবু সাঈদ হত্যা : সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ আবারও পেছাল
 - ট্রাম্প-সৌদি যুবরাজ বৈঠক ১৮ নভেম্বর