শ্রীলঙ্কা সফরের ওয়ানডে সিরিজের নির্ধারণী ম্যাচে আজ (১ এপ্রিল) কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। তবে লঙ্কান ওপেনারদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শুরুতে বেশ চাপে পড়েলেও পরবর্তীতে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ম্যাচে ফিরেছে টাইগাররা। অবশেষে নিজেদের নির্ধারিত ইনিংসে ৯ উইকেটের বিনিময়ে শ্রীলঙ্কা করে ২৮০ রান। আর লঙ্কা জয়ে টাইগারদের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ২৮১ রান।
এর আগে, ইনিংসের ১১তম ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। মেহেদি মিরাজের ওভারে বিদায় নেন ওপেনার দানুসকা গুনাথিলাকা। তিনটি চার আর একটি ছক্কায় ব্যক্তিগত ৩৪ রান করে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দলীয় ৭৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় লঙ্কানরা। এরপর লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন টাইগারদের গতির ঝড় তোলা তাসকিন আহমেদ। ওপেনার উপুল থারাঙ্গাকে সরাসরি বোল্ড করেন তাসকিন। ৩৫ বলে পাঁচটি চার আর একটি ছক্কায় লঙ্কান দলপতি থারাঙ্গা তার ইনিংসটি সাজান।
দলীয় ২৬তম ওভারে আলস্যভঙ্গিতে রান নিতে গিয়ে রানআউট হন দিনেশ চান্দিমাল। ব্যক্তিগত ২১ রানে ফেরেন তিনি। ডিপপয়েন্ট থেকে তাসকিনের ফেরত পাঠানো বলে স্ট্যাম্পের বেলস তুলে দেন মুশফিক। চান্দিমাল-মেন্ডিস মিলে ৪৯ রান যোগ করেন। এরপর জুটি বড় করতে পারেননি মেন্ডিস আর মিলিন্দা সিরিবর্ধানে। উইকেটে থেকে ব্যক্তিগত ১২ রানে ফেরেন সিরিবর্ধানে। দুই ব্যাটসম্যানের বোঝাপড়ার ভুলের সুযোগ নিয়ে সিরিবর্ধানেকে রানআউট করে ফেরান মুশফিক। দলীয় ১৬১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
ইনিংসের ৩৭তম ওভারে মোস্তাফিজ ফেরান কুশল মেন্ডিসকে। ব্যক্তিগত ৫৪ রানে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হন ৭৬ বলে চারটি চারের সাহায্যে ইনিংস সাজানো মেন্ডিস। দলীয় ১৯৪ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ষষ্ঠ উইকেটের দেখা পেতে টাইগারদের অপেক্ষা করতে হয় ইনিংস ৪৪তম ওভার পর্যন্ত। দলপতি মাশরাফির দারুণ এক ডেলিভারিতে তুলে মারার খেসারত দেন আসেলা গুনারত্নে। ব্যক্তিগত ৩৪ রানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের তালুবন্দি হন তিনি। দলীয় ২১৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
ইনিংসের ৪৫তম ওভারে মোস্তাফিজ ফিরিয়ে দেন এবং সেকুজে প্রসন্নকে। মাহমুদুল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন প্রসন্ন (১)। দলীয় ২৩০ রানের মাথায় সপ্তম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। থিসারা পেরেরা ব্যাট করেন বিগ শটের ওপর ভিত্তি করে। ৪০ বলে ৫২ রান করতে তিনি ৪টি চারের পাশাপাশি ১টি ছক্কা হাঁকান। শেষ দিকে তাকে সঙ্গ দেন দিলরুয়ান পেরেরা। মাশরাফির করা শেষ ওভারে বিদায় নেন দিলরুয়ান। ১৫ রানে তামিমের হাতে ধরা পড়েন। একই ওভারের পঞ্চম বলে মাশরাফির অফসাইডের বলে লেগে খোঁচা দিতে গিয়ে তাসকিনের সহজ ক্যাচে ফেরেন থিসারা পেরেরা।