২০১৮ সালে রাশিয়া এবং ২০২২ সালে কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ হিসেবে মনোনীত করেন সাবেক ফিফা সভাপতি সেপ ব্লাটার। পরে ফ্রান্সের চাপে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন বলে জানান তিনি।এ নিয়ে জল ঘোলা হয়েছে অনেক। তবুও সমাধান আসেনি। চলছে একাধিক তদন্ত। তদন্তে নেমেছে ফ্রান্সও। এর অংশ হিসেবে সাক্ষ্য নেয়ার জন্য সেপ ব্লাটারকে ডেকে পাঠিয়েছে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ।
গেলো বছর তদন্ত শুরু করে ফ্রান্স আর্থিক কমিটি। দুর্নীতি ও অনিয়ম করেই ব্লাটার কাতার ও রাশিয়াকে বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ হিসেবে মনোনীত করেন। একরকম এটি ধরে নিয়েই তদন্তে আগাচ্ছে তারা। এতে সহায়তা করছে সুইজারল্যান্ড ও আমেরিকা।
২০২২ সালে কাতারে হবে বিশ্বকাপ। তবে এখনো দেশটি এর প্রস্তুতি সারতে পারেনি। সেখানে ফুটবল ঐতিহ্যও নেই। নেই ফুটবল অবকাঠামোও। তারপরও কেনো তাদের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হলো-মূলত তদন্তে সেটিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২০১৫ সাল ছিল ফিফার ইতিহাসে সবচে’ কেলেঙ্কারির বছর। বছরের শুরুতে টানা পঞ্চমবারের মতো এর প্রেসিডেন্ট হন সেপ ব্লাটার।
দুর্নীতি ও অনিয়ম করে ২০১৮ সালে রাশিয়া এবং ২০২২ সালে কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ করার অভিযোগে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার বেশ ক’জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আটক করেন সুইস পুলিশ। এ দুর্নীতির সঙ্গে ফিফা প্রধান ব্লাটারও যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে এ অভিযোগের দায় নিয়ে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
সূত্র: এএফপি
বিডি প্রতিদিন/২৯ এপ্রিল, ২০১৭/ ই জাহান