প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক দীলিপ বেঙ্গসরকার জানিয়েছেন, বিরাট কোহলির উপর ভরসা রাখার জন্য বিসিসিআইয়ের মুখ্য নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে তাকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল। ২০০৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকদের চেয়ারম্যান পদে আসীন হন বেঙ্গসরকার। ওই সময় বিসিসিআইয়ের প্রধান ছিলেন কিরন মোরে।
২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ানডে দলে (তৎকালীন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক) বিরাট কোহলিকে ঢোকাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই সময় তার সঙ্গে সহমত হতে পারেননি বিসিসিআইয়ের তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ শ্রীণিবাসন। তিনি নিজের আইপিএল দলের প্লেয়ার বদ্রিনাথকে সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন জাতীয় দলে। এই মতবিরোধের কারণেই ২০০৮ এ পদ থেকে সরতে হয় বেঙ্গসরকারকে।
মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে এসে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বেঙ্গসরকার জানান, ‘আমার মনে হয়েছিল ওটাই ঠিক সময় বিরাটকে দলে নিয়ে আসার জন্য। চারজন নির্বাচক আমার সঙ্গে সহমত হলেও আমার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন অধিনায়ক ধোনি ও কোচ গ্যারি কার্স্টেন। আমি ওদের বলেছিলাম বিরাটের খেলা আমি দেখেছি ও জাতীয় দলে খেলার যোগ্যতা রাখেন। কিন্তু তখন বিরাটের মধ্যে প্রতিভা খুঁজে পাননি কোচ ও অধিনায়ক। সঙ্গেই অধিনায়ক ও শ্রীণিবাসন নিজেদের আইপিএল দল চেন্নাই সুপার কিংসের ফেলোয়াড় বদ্রিনাথকে দলে নিয়ে আসতে আগ্রহী ছিলেন।’
সঙ্গেই প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক যোগ করেন,‘বদ্রিনাত সুযোগ না পাওয়াতে শ্রীণি আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন কেন এই দলে বদ্রির জায়গা হল না। জানিয়েছিলাম অস্ট্রেলিয়ার এর্মাজিং প্লেয়ারদের টুরে বিরাটের খেলা আমি দেখেছি ও সত্যিই অসাধারণ সেই জন্যই ও দলে জায়গা পেয়েছে ৷ তখন আমাকে বলা হয়েছিল বদ্রিনাথের তামিলনাড়ু দলে ৮০০ রান রয়েছে। ওর এখন ২৯ বছর বয়স। কখন সুযোগ পাবে বদ্রি? এক্ষেত্রেও আমার জবাব ছিল ও নিশ্চয় সুযোগ পাবে কিন্তু কখন পাবে সেটা এখনই বলতে পারছি না। এরপরদিনই শ্রীকান্তকে নিজের টিমে নেন শ্রীণি। পরে শ্রীকান্তকে আমার জায়গায় নিয়ে আসা হয়। বিরাটকে ব্যাক করে চাকরি যায় আমার।’
সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর সেভেন
বিডি প্রতিদিন/৮ মার্চ, ২০১৮/ওয়াসিফ