মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশের ক্রিকেটে যার অাবির্ভাব দ্যুতি ছড়িয়ে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০১ সালের এপ্রিলে ওয়ানডে অভিষেক। আর একই বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোতে টেস্ট অভিষেক। অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৪ রান করে রেকর্ড বইয়ে নাম লেখান বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে। এরপর ১৩ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক আশার ফুল ছড়িয়েছেন আশরাফুল। কিন্তু ২০১৪ সালের জুন মাসে বিপিএলের এন্টি-করাপশন ট্রাইবুন্যাল আশরাফুলকে ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞা ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে। আর সেই সঙ্গে নক্ষত্র পতন ঘটে আশরাফুলের। পরে সেপ্টেম্বরে বিসিবির ডিসিপ্লিনারি প্যানেল সেই নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে ৫ বছরে নিয়ে আসে।
আগামী ১৩ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে অপেক্ষার অবসান ঘটছে মোহাম্মাদ আশরাফুলের। সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে সোমবার। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও বিপিএল খেলার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকবে না এ ব্যাটসম্যানের।
ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর গত দুই মৌসুমের মধ্যে তার উল্লেখযোগ্য পারফরমেন্স ছিল ২০১৭-১৮ মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে ৫ সেঞ্চুরি।লিস্ট 'এ' তে ২৩ ম্যাচে তার গড় রান ৪৭.২৩। লিস্ট 'এ' টুর্নামেন্টের এক মৌসুমে পাঁচ সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান তিনি। তার আগে ২০১৫-১৬ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার আলভিরো পিটারসন ঘরোয়া ক্রিকেটে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছিলেন।
বর্তমানে লন্ডনে আছেন আশরাফুল, ওভালে ফিটনেস ট্রেইনিং করছেন। আবারও জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখছেন অ্যাশ।
এ প্রসঙ্গে আশরাফুল বলেন, এই দিনটির জন্য আমি বহুদিন ধরে অপেক্ষা করছি। আমি নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ার পর পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। অবশ্য আমি গেল দুই মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি। তবে ১৩ আগস্টের পর থেকে জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ খেলার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকবে না আমার। বাংলাদেশের হয়ে আবার খেলতে পারাটা হবে আমার জীবনের সেরা অর্জন।
বিডি-প্রতিদিন/ই-জাহান