চট্টগ্রাম টেস্টে স্পিনারদের দাপটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬৪ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। শনিবার ম্যাচের তৃতীয় দিন মাত্র ২০৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে তাইজুল ইসলাম, সাকিব অাল হাসান-মেহেদী হাসান মিরাজদের সামনে শুরু থেকেই খাবি খেতে হয় ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের। দলীয় ১১ রানেই ৪ উইকেট হারায় তারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট পাওয়া সাকিব আল হাসান প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ২০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক গড়েন। এছাড়া সবচেয়ে দ্রুত সময়ে টেস্টে ৩ হাজার রান ও ২০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তিতে তিনি পেছনে ফেলেন ইংল্যান্ড গ্রেট ইয়ান বোথামকে।
চট্টগ্রাম টেস্টে চার স্পিনারের একাদশ সাজানোয় ছিল যে বার্তা, নতুন ‘স্পিন কোয়ার্টেট’ সেই আশা পুরিয়েছে পুরোপুরি। ম্যাচে বাংলাদেশের ২০ উইকেটই স্পিনারদের।
সাকিব, মিরাজ, নাঈমরা দারুণ বোলিং করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে মূলত জ্বলে ওঠেন প্রথম ইনিংসে এক উইকেট পাওয়া তাইজুল ইসলাম। একে একে তুলে নেন ৬টি মূলবান উইকেট। তার শিকারে ছিলেন উইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, রোস্টন চেজ, শেন ডোওরিচ, দেবেন্দ্র বিশু, কেমার রোচ ও সুনীল অ্যামব্রিস।
এছাড়া সাকিব ও মিরাজ নেন দুইটি করে উইকেট। এদিকে, প্রথম ইনিংসে অভিষেক ম্যাচে সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে ৫ উইকেট শিকার করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন স্পিনার নাঈম হাসান। ওই ইনিংসে ৩ উইকেট নেন চোট কাটিয়ে ফেরা সাকিব। এছাড়া তাইজুল ও মিরাজ নেন একটি করে উইকেট।
স্পিনারদের এই ম্যাচে সেরার পুরস্কার জিতেছেন মুমিনুল হক। ম্যাচের প্রেক্ষাপটে তার প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরি কতটা মূল্যবান ছিল তা তার ম্যাচ সেরার পুরস্কারই প্রমাণ করে। কারণ বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হকের ১২০ রানের দুর্দান্ত ওই সেঞ্চুরির কল্যাণেই ৩২৪ রান করতে সক্ষম হয়। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৪৬ রানে গুটিয়ে গেলে প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানের মহা গুরুত্বপূর্ণ লিড পায় স্বাগতিকরা। ফলে সেই সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচ সেরা হন মুমিনুল হক।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম