ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে বিতর্কিত ভিএআর পেনাল্টির গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে পড়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। চোটের কারণে পিএসজির হয়ে খেলতে না পারা নেইমার ওই পেনাল্টি নিয়ে ক্ষোভ ঝারেন। ম্যাচ অফিসিয়াল এবং উয়েফাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় নিষিদ্ধ হতে পারেন ব্রাজিলিয়ান এ সুপারস্টার।
ওই ম্যাচে, বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া ডিয়েগো দালোর শট ঘুরে উঠে লাফিয়ে বাধা দিয়েছিলেন প্রেসনেল কিমপেম্বে । প্রথমে রেফারি কর্নারের বাঁশি বাজালেও পরের মুহূর্তেই সিদ্ধান্ত নেন ভিএআরের সাহায্য নেওয়ার। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে কিমপেম্বের বিরুদ্ধে হ্যান্ডবলের অভিযোগ এনে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করেই ইউনাইটেডকে কোয়ার্টারে নিয়ে যান মার্কাস র্যাশফোর্ড।
কিমপেম্বের সেই বিতর্কিত হ্যান্ডবল নিয়ে নেইমার বলেন, ‘বলটা তাঁর শরীরের পেছনে লেগেছিল, তাহলে সেটা হ্যান্ডবল কীভাবে হয়? খুব বাজে একটা ব্যাপার ঘটেছে। এমন চারজনকে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যারা ফুটবলই বোঝেন না। এটা কোনভাবেই পেনাল্টি হয় না।'
সেই হ্যান্ডবলের ছবির স্ক্রিনশট পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন নেইমার। মুখ খারাপ করে সরাসরি উয়েফাকে ‘গালিগালাজ’ করেন। বিষয়টি নজর এড়ায়নি ইউরোপীয় ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থারও। এর জেরে তাকে এখন শাস্তি দেয়ার কথা ভাবছে সংস্থাটি।
উয়েফার আইন অনুযায়ী, ১১ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছেন নেইমার। ফলে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে এক থেকে তিন ম্যাচ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি। তবে নেইমার শাস্তি পাচ্ছেন না কি না,তা জানা যাবে ২৮ মার্চ।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ