পিটার হ্যান্ডসকম্বের প্রথম ওয়ানোডে সেঞ্চুরি। সেই সঙ্গে উসমান খাওয়াজার ৯১ রান। আর শেষ দিকে অ্যাস্টন টার্নারের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে মোহালিতে ঐতিহাসিক এক জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। ভারতের ৩৫৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ৫ উইকেটে ভারতকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের একদিনের সিরিজে সমতা ফিরলো অজিরা।
রবিবার চতুর্থ একদিনের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপের ড্রেস রিহার্সালে প্রত্যাশামতোই দলে একাধিক পরিবর্তন হল। বিশ্রামে ধোনি, তাই প্রথম একাদশে ঋষভ পন্থ। আম্বাতি রায়াডুর জায়গায় এলেন কেএল রাহুল। মোহম্মদ শামির বদলে ভুবনেশ্বর কুমার আর রবীন্দ্র জাদেজার পরিবর্তে যুজবেন্দ্র চাহল।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চলতি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে এসে বড় রানের পার্টনারশিপ গড়লেন দুই ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং রোহিত শর্মা। ১৯৩ রানের পার্টনারশিপ গড়লেন দু'জন। একদিনের ক্রিকেটে ১৫টি সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ হয়ে গেল শিখর-রোহিত জুটির। আর অজিদের বিরুদ্ধে পাঁচ নম্বর সেঞ্চুরি জুটি দুই ভারতীয় তারকার।
রোহিত ৯৫ রানে আউট হলেও শিখর ধাওয়ান করলেন ১৪৩ রান। ১১৫ বলে ১৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো শিখরের ইনিংস। একদিনের ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের ১৬ তম সেঞ্চুরিটি এদিন করেন ধাওয়ান। সুযোগ পেলেও বড় রান করতে পারলেন না কেএল রাহুল। ২৬ রানে আউট হন তিনি। আগের দুটো ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেও এদিন মাত্র ৭ রানে আউট হন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
ঝড়ো শুরু করেও ২৪ বলে ৩৬ রানে সাজঘরে ফিরলেন ঋষভ। কেদার যাদব ১০ আর বিজয় শঙ্কর ১৫ বলে ২৬ রান করেন। ইনিংসের শেষ বলে বুমরাহর ছক্কায় শেষ পর্যন্ত ভারত ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৫৮ রান তোলে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৫টি উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। ৩টি উইকেট নেন জেই রিচার্ডসন। আর একটি উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা।
৩৫৯ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ভুবনেশ্বর কুমারের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরলেন অ্যারোন ফিঞ্চ। শন মার্শকেও দ্রুত প্যাভিলিয়নের পথ দেখালেন জশপ্রীত বুমরাহ। এরপর মোহালির বাইশ গজে উসমান খাওয়াজা ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব জুটির দাপট। ১৯২ রানের পার্টনারশিপ অস্ট্রেলিয়াকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেয় এই জুটি।
৯১ রান করে আউট হন খাওয়াজা। আর ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সে়ঞ্চুরি করে ফেলেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। ১০৫ বলে ১১৭ রান করেন তিনি। ম্যাক্সওয়েলকে(২৩) দ্রুত ফেরান কুলদীপ। কিন্তু অ্যাস্টন টার্নারের ঝড়ো ব্যাটিং মোহালিতে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায়। ৪২ বলে ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন টার্নার। ১৩ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর