পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে শুরুটা যেমন করা উচিৎ ছিল, সেটি করতে পারলেন না ডি’কক-রোহিত শর্মা। রানের খাতা না খুলেই ফিরলেন প্রোটিয়া ওপেনার। ইডেনে এদিন রোহিতের ইনিংস থামল মাত্র ১২ রানে। মিডল অর্ডারেও সেভাবে হাল ধরতে পারলেন না কেউই।
হার্দিকের ৩৪ বলে ‘টর্নেডো’ ৯১ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ একটা কামড় দেওয়ার চেষ্টা করেছিল মুম্বাই। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। মুম্বাইকে রানে হারিয়ে প্লে-অফের আশা এখনও ধরে রাখল শাহরুখের দল। ক্রিকেটের নন্দনকাননে ৬ ম্যাচ পর দলের জয় দেখলেন শাহরুখ খান নিজে।
২৩৩ রানের ট্রার্গেটে ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরুতেই দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মুম্বই। মাত্র ১৫ রানে এরপর ফেরেন এভিন লুইস। ১৪ বলে ২৬ করে বিধ্বংসী হয়ে ওঠার আগে সূর্যকুমারকে ফিরিয়ে দেন রাসেল। পঞ্চম উইকেটে পোলার্ড-হার্দিকের ৬৩ রানের পার্টনারশিপে কিছুটা ম্যাচে ফেরে মুম্বাই। পোলার্ড ২১ বলে ২০ করে ফিরলেও ইডেন মাতাতে থাকেন ভারতীয় দলের ইউটিলিটি অলরাউন্ডার হার্দক পান্ডিয়া।
তবে একার কাঁধে দলকে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব ছিল না হার্দিকের পক্ষে। সপ্তম উইকেটে ক্রুনাল পান্ডিয়ার সঙ্গে তার ৬৪ রানের পার্টনারশিপেও একসময় জয়ের স্বপ্ন দেখছিল মুম্বাই। কিন্তু ক্রুনাল ফিরতেই সেই আশা শেষ হয়ে যায়। মাত্র ৩৪ বলে ৯১ রানে থমকে যায় হার্দিকের ব্যাট। ৬টি চার ও ৯টি ছয়ে ইডেন মাতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৩৫ রান দূরে থেমে যায় মুম্বাইয়ের ইনিংস।
প্লে-অফের জন্য অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হল তাদের। অন্যদিকে ছ’ম্যাচ পর জয়ের সরনিতে ফিরে প্লে-অফের আশা বেঁচে রইল নাইট শিবিরে। ব্যাট হাতে ৪০ বলে ৮০ রানের পর বল হাতেও এদিন ২টি উইকেট তুলে নেন রাসেল। মূলত ক্যারিবিয়ান পিঞ্চ হিটারের মারকাটারি ইনিংস, পাশাপাশি লিন-গিলের জোড়া অর্শতরানে প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ২৩২ রান তোলে কেকেআর।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর