নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৪৭ রানে আটকে রেখে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন বাংলাদেশের তারকা দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। পাওয়ার প্লেতে বোলিংয়ে আসা অ্যাশলি নার্স ভাঙলেন শুরুর জুটি। দলীয় ৫৪ রানে বোল্ড করে তামিম ইকবালকে ফিরিয়ে দেন এই অফ স্পিনার। ইনিংসের নবম ওভারে অ্যাসলে তার প্রথম দুই বলে ব্যাক টু ব্যাক বাউন্ডারি হাঁকান তামিম ইকবাল। এই অফ স্পিনারের চতুর্থ বলে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হন টাইগার ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে ২১ রান করেন তামিম।
২৪৮ রান করলেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত হবে বাংলাদেশ দলের। ১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮২/১। ক্রিজে সৌম্য সরকারের (৪৯) সঙ্গী সাকিব আল হাসান (১০)।
এর আগে, ত্রিদেশীয় সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে ডাবলিনের মালাহাইডে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ক্যারিবীয়রা। ব্যাট করতে নেমে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শাই হোপ আর সুনীল অ্যামব্রিস জুটিতে আসে ৩৭ রান। উদ্বোধনী জুটিটা ভাঙেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
অ্যামব্রিস করেন মাত্র ২৩ রান। এরপর ডোয়াইন ব্রাভোকে মাত্র ৬ রানে ফেরান মেহেদী মিরাজ। রোস্টন চেজও এদিন হাল ধরতে পারেননি দলের। মুস্তাফিজের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাত্র ১৯ রান করে।
জনাথন কার্টার করেন ৬ রান। কার্টারকেও ফেরান কাটার মাস্টার। এরপর লম্বা জুটি গড়েন শাই হোপ আর জেসন হোল্ডার।
হোপ ধীর গতিতে রান তুললেও হোল্ডার রান তুলেন দ্রুত। শেষ পর্যন্ত হোপকে ফেরান মাশরাফি। ১০৮ বলে ৮৭ রান আসে এই উদ্বোধনী ব্যাটস ম্যানের ব্যাট থেকে।
দ্রুত রান তুলতে থাকা হোল্ডারকে দলীয় ২০৭ রানের মাথায় সাজঘরের পথ ধরান সেই মাশরাফিই। হোল্ডার খেলেন ৭৬ বলে ৬২ রানের ইনিংস।
৫০ ওভার শেষ উইন্ডিজদের দলীয় রান হয় ৯ উইকেটে ২৪৭। নিজের অভিষেক ম্যাচে ৯ ওভার বোলিং করলেও কোনো উইকেট পাননি আবু জায়েদ চৌধুরী, দিয়েছেন ৫৬ রান। মাশরাফি নেন ৩ উইকেট। মিরাজ নেন ১টি, সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১০ ওভারে দেন মাত্র ২৭ রান, নেন ১টি উইকেট। মুস্তাফিজ আজ গত ম্যাচের মতো খরুচে ছিলেন না। ৯ ওভারে মাত্র ৪৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম