আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভারতের কোচ থাকছেন শাস্ত্রী, থাকছেন তার পছন্দের দুই সাপোর্ট স্টাফ ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার ও বোলিং কোচ ভরত অরুণও। থাকবেন ফিল্ডিং কোচ শ্রীধরও। তাদের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি বাড়িয়ে বিশ্বকাপের পরে আরও ৪৫ দিন করা হয়েছিল আগেই। অর্থাৎ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর পর্যন্ত তারা থাকছেন। কিন্তু তারপরে শাস্ত্রী কোচ থাকবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
শাস্ত্রীকে যদি কোচ থাকতে হয়, নতুন করে আবেদন করতে হবে। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময়েই কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারে বোর্ড। আর এবার কোচের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে কপিল দেবের অ্যাড হক ক্রিকেট কমিটিকে। সেই কমিটিতে আছেন কপিল দেব, শান্তা রঙ্গস্বামী ও অংশুমান গায়কোয়াড়।
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপে সবচেয়ে দামি কোচদের তালিকায় এক নম্বরে ছিলেন রবি শাস্ত্রী। তার সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি বছরে ১২ কোটি টাকার। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও তৃতীয় স্থানে বিশ্বকাপ ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ডের কোচ ট্রেভর বেলিস। এর আগে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও টিমের কোচ ছিলেন শাস্ত্রী। গ্রুপে সব ম্যাচ জেতার পরে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে হারানোর পরে সেমিফাইনালে অজিদের কাছে হেরে ছিটকে যায় ভারত।
চার বছর পরে ইংল্যান্ডেও শাস্ত্রীর কোচিংয়ে টিম নক আউটে উঠেই নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেয়। খবর অনুযায়ী বিশ্বকাপের সময় সব সিদ্ধান্তই বিরাট ও শাস্ত্রী নিতেন, বাকিদের সঙ্গে আলোচনা না করেই। ফলে টিম দুটো শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। একটা বিরাট শিবির, অন্যটা রোহিত শিবির।
অভিযোগ, বিরাটের আরসিবিতে খেলেন বলেই বেশির ভাগ সময় যুজবেন্দ্র চাহালকে কুলদীপের আগে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। আম্বাতি রায়াডুর ক্ষেত্রেও তাকে না ডেকে মায়াঙ্ককে আনা হয় টিমের কারও সঙ্গে পরামর্শ না করেই। টিমের অনেকের কাছেই কোচ শাস্ত্রী এবং বোলিং কোচ ভরত অরুণ একেবারেই স্বাগত নন। প্রসঙ্গত, সৌরভ-সচিন-লক্ষ্মণদের নিয়ে তৈরি হওয়া ক্রিকেট কমিটি অতীতে বোলিং কোচ হিসেবে জাহির খানের নাম প্রস্তাব করলেও তা কার্যকর হয়নি। এখন যা পরিস্থিতি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পরে টিম ইন্ডিয়ার কোচ পদ নিয়ে নতুন করে জলঘোলা হওয়ার সম্ভাবনা।
বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ