নিশ্চিত হারের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করলেও শেষমেশ শেফিল্ড ইউনাইটেডের কাছে আটকে গেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড৷ প্রিমিয়ার লিগে শেফিল্ডের সঙ্গে ৩-৩ গোলের উত্তেজক ড্র করল ম্যানচেস্টার।
এক সময় ম্যাচের ৭২ মিনিট পর্যন্ত জোড়া গোলে পিছিয়ে ছিল ইউনাইটেড। সেখান থেকে ৭ মিনিটের ঝড়ে শেফিল্ডের জয়ের স্বপ্ন তছনছ করে দেয় রেড ডেভিলসরা। দু’গোল শোধ করার পরেও একটি গোল তারা চাপিয়ে দেয় হোম টিমের ঘাড়ে। অর্থাৎ ৭ মিনিটের মধ্যে তিনটি গোল করে ম্যানচেস্টার ম্যাচে লিড নিয়ে নেয়। যদিও একেবারে শেষ মুহূর্তে ম্যাচে সমতা ফেরায় শেফিল্ড৷।
ম্যাচের প্রথমার্ধে ১টি মাত্র গোল হয়। দ্বিতীয়ার্ধে গোল হয় ৫টি। শেফিল্ডের হয়ে গোল করেন ফ্লেক, মউসেট ও ম্যাকবার্নি। ম্যানচেস্টারের হয়ে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান উইলিয়ামস, গ্রিনউড ও রাশফোর্ড। জিতলে লিগ টেবিলের পাঁচ নম্বরে উঠে আসার হাতছানি ছিল ওলে গানারদের সামনে। তা না হওয়ায় পয়েন্ট টেবিলে ৯ নম্বরে নেমে যেতে হয় ইউনাইটেডকে।
১৯ মিনিটের মাথায় লান্ডস্ট্রামের শট আটকে ফিরতি বলে ম্যানচেস্টারের জালে ঠেলে জেন জন ফ্লেক। ৫২ মিনিটে ফ্লেকের পাশ থেকে গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন লিস মউসেট। ৭২ মিনিটে টিন-এজার ব্র্যান্ডন উইলিয়ামস ইউনাইটেডের হয়ে ব্যবধান কমিয়ে ২-১ করেন। ৭৭ মিনিটে রাশফোর্ডের পাশ থেকে গোল করে ম্যাচে ২-২ সমতা ফেরান আর এক টিন-এজার ম্যাসন গ্রিনউড।
৭৯ মিনিটে জেমসের ক্রস থেকে গোল করে ম্যানচেস্টারকে ২-৩ গোলে এগিয়ে দেন রাশফোর্ড। ৯০ মিনিটে রবিনসনের পাশ থেকে গোল করে ম্যাকবার্নি শেফিল্ডের পরাজয়ের শঙ্কা দূর করেন এবং স্কোর-লাইন ৩-৩ করেন। এই ড্র’য়ের পর ১৩ ম্যাচে ম্যানচেস্টারের পয়েন্ট দাঁড়ায় ১৭। শেফিল্ডের পয়েন্ট দাঁড়ায় ১৮। তারাও পঞ্চম স্থান থেকে ছ’নম্বরে নেমে যায়৷ লিভারপুল যথারীতি ১৩ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক