কোপা আমেরিকার প্রায় দুই মাস পর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আবারও মুখোমুখি হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রবিবার দিবাগত রাত ১টায় মাঠে নামে দুই দল। কোয়ারেন্টাইন বিতর্কে ম্যাচ মাঠে গড়ানোর ৫ মিনিটের মাথায় বন্ধ হয়ে যায়। সাইডলাইনে চলে হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডা। একটা সময় আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা মাঠে ছেড়ে উঠে যান। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি মাঝপথে বাতিল হয়ে যায়।
মূলত কোয়ারেন্টাইন কাণ্ডে ম্যাচটি বাতিল হয়েছে। ইংল্যান্ড থেকে আসা আর্জেন্টিনার ৪ খেলোয়ার কোয়ারেন্টিনবিধি ভেঙেছেন অভিযোগ আনে ব্রাজিলের স্বাস্থ্যকর্মকর্তারা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ম্যাচটি স্থগিতের ঘোষণা দেয় কনমেবল।
ম্যাচ স্থগিতের পরপরই স্টেডিয়াম ছাড়ে আর্জেন্টিনা দল। আর স্টেডিয়াম ছাড়ার পাঁচ ঘণ্টা পরই ভাড়া করা বিমানে করে ব্রাজিল ছেড়েছেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে ব্রাজিলের জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল 'ইউওএল'-এ কলামিস্ট ডিয়েগো গার্সিয়া লিখেছেন, ‘এই মহামারিতে ফুটবল নিয়ে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারির জন্ম দিল আর্জেন্টিনার মিথ্যুকরা।’
ব্রাজিলের আরেক সংবাদমাধ্যম গ্লোবো শিরোনাম করেছে 'বৈশ্বিক লজ্জা'। তবে গত তিনদিন কেন এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি- সে প্রশ্নও তারা তুলেছে।
আরেকটি শীর্ষ সংবাদমাধ্যম ‘ফোলহা’ লিখেছে, ‘আনভিসা মাঠে ঢুকে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের আটক করতে চেয়েছিল।’ সংবাদমাধ্যমটির দাবি, প্রিমিয়ার লিগে খেলা আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড় ইংল্যান্ড থেকে ব্রাজিলে আসায় কোয়ারেন্টিন এড়াতে 'ভুয়া' হলফনামা জমা দেন। 'ল্যান্স' শিরোনাম করেছে- ‘বৈশ্বিক লজ্জা : ম্যাচ স্থগিত করেছে কনমেবল, চার আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় স্বাস্থ্যনীতি লঙ্ঘন করেছেন।’
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর ছেলে ফ্লাভিও বলসোনারোও টুইটারে লিখেছেন, 'আর্জেন্টাইনরা ছল-চাতুরির আশ্রয় নিয়েছে। জেনেশুনেই ব্রাজিলের আইন ভেঙেছে, আনভিসাকে কিছু টের পেতে দেয়নি। ইংল্যান্ড থেকে তারা চার খেলোয়াড়কে এনেছে। ম্যাচের আগে পুলিশকে তাই তদন্ত করতে হয়েছে, কারা নিয়ম মানেনি। আর্জেন্টিনার চরম শাস্তি হওয়া উচিত।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ