নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে ৯৪ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের। মিরপুরে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯৩ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। ফলে জয়ের জন্য টাইগারদের করতে হবে ৯৪ রান।
বুধবার মিরপুর স্টেডিয়ামে টাইগারদের বোলিং তোপে ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
টস হেরে বল করতে নেমে নাসুম আহমেদকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। ওভারের পঞ্চম বলেই আসে সাফল্য। পাঁচ বল খেলে কোনো রান না করা রাচিন রবীন্দ্রর তুলে দেওয়া ক্যাচ মিডউইকেটে দারুণ দক্ষতায় তালুবন্দি করেন সাইফউদ্দিন।
দ্বিতীয় ওভারে বল হতে আসেন সাকিব। পঞ্চম বলে রিভার্স সুইপে ছক্কা হাঁকান ফিন অ্যালেন। ওভার থেকে আসে ১০ রান। ফিরতি ওভারে এসেই ৮ বলে ১ ছক্কায় ১২ রান করা ফিন অ্যালেনকে তুলে নেন নাসুম। ক্যাচ নেন সেই সাইফউদ্দিন। ১৬ রানে কিউইদের দ্বিতীয় উইকেটের পতন।
ল্যাথাম আর ইয়ং জুটিতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কিউইরা। প্রথম এবং ৭ম ওভারের মাঝেই দুটি রিভিউ শেষ করে ফেলে বাংলাদেশ। দুটিই ছিল লেগ বিফোরের আবেদন। একাদশ ওভারে টাইগারদের ব্রেক থ্রু দেন স্পিনার শেখ মেহেদি আর নুরুল হাসান সোহান। মেহেদির বলে ২৬ বলে ২১ করা ল্যাথামকে স্টাম্পড করে দেন সোহান। ভাঙে ৪৭ বলে ৩৫ রানের জুটি।
পরের ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। তার বলে বোল্ড হয়ে হেনরি নিকোলাস (১)। পরের বলেই কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (০) ক্যাচ দেন নুরুল হাসান সোহানের হাতে। হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল। ওভারের চতুর্থ বলটি টম ব্লান্ডেলের ব্যাটের খুব কাছ দিয়ে গেলেও স্পর্শ করেনি।
তবে ১৬তম ওভারে আক্রমণে এসে ব্লান্ডেলকে (৪) মোহাম্মদ নাঈমের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মুস্তাফিজ। একই ওভারে ফিজ নিজের বলেই কোল ম্যাকনচির ক্যাচ নেন। এরপর এজাজ প্যাটেলকে (৪) বোল্ড করে ফেরান সাইফউদ্দিন।
নিজের ও ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ফিফটির দিকে ছুটতে থাকা ইয়াংয়ের উইকেট নেন মুস্তাফিজ। কিউই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বিদায়ের আগে ৪৮ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪৬ রান করেন। এরপর ওভারের তৃতীয় বলে কিউইদের শেষ উইকেট ও ম্যাচে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে ৪ ওভারে দুই মেডেনসহ ১০ রান খরচে ৪ উইকেট নিয়েছেন নাসুম। সমান উইকেট পেতে ৩.৩ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচ করেছেন মুস্তাফিজ। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন ও মেহেদী।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন