টেস্ট ক্রিকেটের বিচারে আহামরি পারফরম্যান্স না হলেও চট্টগ্রামের উইকেটের প্রশংসা করেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। শুধু তাই নয়, মিরপুরেও একই ঘরানার উইকেট চেয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। অথচ মিরপুরের সর্বশেষ টেস্টে পেসারদের চেয়ে স্পিনারদের সাফল্যই ছিল বেশি। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের দ্বিতীয় টেস্টে কোন ধরনের উইকেটে খেলা হবে- সে আলোচনাই চলছে। এই টেস্টে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। চট্টগ্রামে অভিষিক্ত ইয়াসির রাব্বি গতকাল অনুশীলনের ফাঁকে জানিয়েছেন, সাকিব দলে ফেরায় নিশ্চিত করেই মিরপুর টেস্টে লড়াই হবে। তবে উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে খেলার পরিকল্পনা থাকবে।
মিরপুরের উইকেট নিয়ে ইয়াসির বলেন, ‘আমরা জানি না উইকেট কেমন হবে। উইকেটের আচরণ দেখে আমাদের খেলতে হবে। উইকেট যেমনই হোক, মূল বিষয় হচ্ছে আমাদের যে প্রক্রিয়া আছে সেটা ধরে রাখতে হবে। সবকিছু সাধারণভাবে রেখে উইকেট যে রকম চায় সেভাবে ব্যাটিং করতে হবে।’
প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই বাংলাদেশের টপ অর্ডার হতাশ করেছে। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা হাল ধরেছেন ম্যাচের। প্রথম ইনিংসে ইয়াসির ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন ৪ রান করে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে লিটনের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে বড় লিডের দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই শাহীন শাহ আফ্রিদির একটি বল সব এলোমেলো করে দেয়। হেলমেটে আঘাতের পর ১ ওভার মাঠে ছিলেন, পরে অস্বস্তির কারণে মাঠ ছাড়েন। তার কনকাশন বদলি হয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন নুরুল হাসান সোহান। তিনি ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন।লিটনের সঙ্গে ইয়াসিরের জুটিতে এসেছিল ৪৭ রান। ইয়াসির ৩৬ রানে মাঠ ছাড়েন। তিনি যাওয়ার পর বাংলাদেশ দল মাত্র ৬৭ রান যোগ করতে পেরেছিল।
আফ্রিদির বলের আঘাতে ভয় পেয়েছিলেন বলে এই ব্যাটসম্যান জানান। তবে মাঠছাড়ার পর দলের বিব্রতকর ব্যাটিং দেখে কষ্ট পেয়েছিলেন ইয়াসির, ‘আসলে তো একটু ভয় পেয়েছিলাম। কারণ মাথায় বল লেগেছিল। সত্যি কথা বলতে ভয়ে ছিলাম আবার কষ্টও পাচ্ছিলাম একটু। আমার অভিষেক ম্যাচ, দলকে একটু ভালো জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু শেষ করতে পারিনি। আসলে এটি একটি মিশ্র অনুভূতি।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ