আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বুধবার টস হেরে ফিল্ডিং করছে বাংলাদেশ।
এদিন ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে রহমানুল্লাহ গুরবাজকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। মিড উইকেটের ওপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন এই আফগান ওপেনার, ব্যাটে-বলে ঠিকমতো সংযোগ হয়নি, বল উঠে যায় আকাশে। তামিম ইকবাল ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি। ১৪ বলে ১ চারে ৭ রান করেন গুরবাজ।
এরপরই আফগান শিবিরে আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। তার দারুণ ডেলিভারিতে ১৯ রান করে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইবরাহীম। দলীয় ৫৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় সফরকারীরা। এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলছিলেন রহমত শাহ। অবশেষে তাকে থামিয়ে স্বস্তি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। তার ব্যাক অফ লেন্থের বলে রহমতের ব্যাট ছুঁয়ে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকের গ্লাভসে। ৬৯ বলে ৩ চারে ৩৪ রান করেন রহমত।
২৮ ওভারের সময় বোলিং করতে এসে ব্রেকথ্রু এনে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সাজঘরে ফেরালেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহীদীকে। সোজা বলে কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন হাসমতুল্লাহ। ৩ চার ও ১ ছয়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ২৮ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবী।
নাজিবুল্লাহ জাদরানের সঙ্গে জুটি গড়ে নবী এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। দু'জনের পঞ্চম উইকেটের জুটি পেরিয়ে যায় ৫০ রানের ঘর। দুজনের ব্যাটিং যখন মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠছিল বাংলাদেশের তখনই স্বস্তি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। তার আউট সাইড অফের বল কাভার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন নবী, বল ব্যাট স্পর্শ করে চলে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকের গ্লাভসে। ২৪ বলে ২ চারে ২০ রান করে ফেরেন নবী, ভেঙে যায় ৬৩ বলে ৬৩ রানের জুটি।
এদিকে, অষ্টম ওভার পর্যন্ত চেনা সাকিব আল হাসানকে দেখা যাচ্ছিল না। বল হাতে ছিলেন এলোমেলো। অবশেষ নিজের নবম ওভারে এসে খেল দেখান সাকিব। একই ওভারে ফেরান গুলবাদিন নাঈব ও রশিদ খানকে।
এক ওভারে সাকিবের জোড়া উইকেট শিকারের পর আক্রমণ করেন মুস্তাফিজুর রহমান। শূন্য সাজঘরে ফেরান মুজিব উর রহমানকে। মুজিব খেলতে চেয়েছিলেন লেগ সাইডে কিন্তু বল মিস টাইমিং হয়ে ধরা পড়েন কাভারে।
এক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও নাজিবুল্লাহ জাদরান ছিলেন অবিচল। দারুণ ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিয়েছিলেন ইনিংস গড়ায়। ৭০ বলে দেখা পেয়েছিলেন হাফসেঞ্চুরির। শরিফুলের বলে ৪৯তম ওভারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন লং অনে। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৬৭ রান। ৮৪ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে এই রান করেন তিনি।
এরপর মুস্তাফিজের স্লোয়ার ডেলিভারিতে পরাস্ত ইয়ামিন আহমদজাই। উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন কভারে। দারুণ ক্যাচ ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১০ বলে ৫ রান করেন ইয়ামিন। তার আউটে ইনিংসের ইতি ঘটে আফগানিস্তানের। এটি মুস্তাফিজের তৃতীয় শিকার।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ