রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের নিশ্চিত জয়টাও হাত ফসকে যায় ১৮ মার্চ। রেফারি বিটুরাজের দেওয়া বিতর্কিত পেনাল্টিতে রাসেলের কাছে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়া পুলিশ ম্যাচে ফেরে এবং শেষ পর্যন্ত ওই পেনাল্টি থেকে করা গোলেই ১-১ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
একবার নয় চলতি মৌসুমে দুই দুইবার রেফারির বিতর্কিত পেনাল্টির সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছে শেখ রাসেল। গত ২২ র্মাচ, মঙ্গলবার রাতে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালনা পরিষদ এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল ২০২১-২২ মৌসুমের বিতর্কিত রেফারিংয়ের কারণে শেখ রাসেলের পয়েন্ট হারানোর বিষয়ে প্রচণ্ড হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্লাবটির পরিচালকরা।
শেখ রাসেলের দাবি, বসুন্ধরা কিংস ও বাংলাদেশ পুলিশ এফসি’র বিপক্ষে ম্যাচ দু’টিতে রেফারির সিদ্ধান্ত তাদের বিপক্ষে গেছে। দুই ম্যাচেই দুটি ভুল পেনাল্টি দিয়েছেন রেফারি। আর এতেই বসুন্ধরা কিংস ও পুলিশের বিপক্ষে ক্লাবটি পয়েন্ট হারিয়েছে বলে দাবি করা হয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় একাধিকবার দুটি পেনাল্টির ভিডিও দেখেছেন শেখ রাসেলের পরিচালকরা। তারপরই তারা বিতর্কিত রেফারিংয়ের অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রথমত ওই দুই ম্যাচের রেফারিকে নিষিদ্ধ করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে শেখ রাসেল। ক্লাবটির দাবি, দু’টি ম্যাচের বিষয়ে বাফুফে সভাপতি, লিগ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির কাছে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তাই আগামী রাউন্ড শুরুর আগেই শেখ রাসেল অভিযুক্ত রেফারিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
আর দ্বিতীয়ত, বাফুফে দাবি না মানলে চলতি প্রিমিয়ার লিগ বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছে শেখ রাসেল। সাথে ব্যাপারটির সুরাহার জন্য ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শরণাপন্ন হওয়া ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয়ত, ম্যাচ দু’টির ভিডিও ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-ফিফা এবং এশিয়ার ফুটবলের অভিভাবক এএফসির কাছে পাঠানোর হুঁশিয়ারীও দিয়ে রেখেছে শেখ রাসেল।
চতুর্থত, সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য বিদেশি দক্ষ রেফারি আনার দাবিও জানিয়েছে শেখ রাসেল। পঞ্চমত, ক্লাবটির আরও অভিযোগ, লিগ ও রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী একটি খেলাও মাঠে বসে দেখেননি। তাই রেফারিদের বাজে সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তার কোনো ধারণাও নেই। একই সাথে শেখ রাসেল এটাও বলেছে, দুই পদে কখনো এক ব্যক্তি বসতে পারেন না। অতীতে এমনটা হওয়ার নজির বাফুফেতে নেই।
আর ষষ্ঠ ও শেষ সিদ্ধান্তে সালাম মুর্শেদীর বিপক্ষেও আরও অভিযোগ আছে শেখ রাসেলের। ক্লাবটির দাবি, নিয়ম অনুযায়ী সাবেক রেফারিই হবেন রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান। তবে সালাম মুর্শেদীর রেফারিংয়ের কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তাই তাকে এই পদে বসিয়ে ফিফার আইন পরিষ্কারভাবে লঙ্ঘন করছে বাফুফে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সবশেষ শেখ রাসেল জানিয়েছে, বাজে রেফারিংয়ের ব্যাপারে বাফুফের উদাসীনতায় হতাশ হয়েই এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে ক্লাব পরিচালকরা।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল