প্রথমে শারীরিক ও মানসিক অবসাদের কারণে সাউথ আফ্রিকা সফরে যেতে চাননি সাকিব আল হাসান। পরে অবশ্য বিসিবি সভাপতির সাথে বৈঠকের পর পরিস্থিতির জট খোলে। সাকিব বিসিবি সভাপতির সাথে সুর মিলিয়ে বলেন, সাউথ আফ্রিকার পরিবেশে তিনি ভালো বোধ করতেও পারেন। প্রোটিয়াদের দেশ যে সাকিবের মন ভালো করেছিল তার প্রমাণ মিলেছিল সেঞ্চুরিয়নের প্রথম ওয়ানডেতে। ৭৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস, সাথে বোলিংটাও ছিল মোটামুটি।
তবে জোহানেসবার্গে সাকিবের ব্যাট হাসেনি। বলেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি মিস্টার অলরাউন্ডার। টাইগাররাও ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছিল। তবে সেই হারের অবসাদ ছাপিয়ে গেছে আরেকটা খবর। মা আর সন্তানসহ সাকিব পরিবারের চার সদস্য হাসপাতালে ভর্তি। খবর পেয়েও সাকিব আল হাসান দেশে ফেরেননি। বিসিবি জানিয়েছে সিরিজ জিততে মুখে আছেন সাকিব, তাই শেষ ওয়ানডেতে খেলতে তিনি দলের সাথেই থাকতে চান।
সাকিবের এমন সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন বিসিবি সভাপতি থেকে তার সতীর্থ সবাই। এবার তাই সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের শেষ ওয়ানডেটা যেন অলিখিতভাবেই তোলা রইলো সাকিবের জন্য। ২০ বছরের চেষ্টায় ওদের মাটিতে প্রথম বার প্রোটিয়াদের হারিয়ে ইতিহাস লিখেছে টাইগাররা। এবার সিরিজ জিতে সেই সেঞ্চুরিয়নেই রূপকথা লেখার পালা।
পরিসংখ্যানের উল্টা বাঁকে গিয়ে সেঞ্চুরিয়নে ভরসা হয়ে আছে প্রথম ওয়ানডের পরিসংখ্যান। তামিম-লিটনের ৯৫ রানের রেকর্ড গড়া ওপেনিং জুটি, সাকিব-ইয়াসির রাব্বির ১১৫ রানের জুটি। সাথে তাসকিন-শরীফুল আর মিরাজের বোলিংয়ে দারুণ নৈপুণ্য। হবে তো ইতিহাস?
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল