ফিফার সাবেক সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার ও উয়েফার সাবেক সভাপতি মিশেল প্লাতিনির ওপর থেকে আজ দুর্নীতির মামলা তুলে নিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের একটি আদালত। ফলে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পেলেন তারা দু’জন।
২০১১ সালে সেফ ব্ল্যাটার ফিফার প্রধান থাকাকালীন মিশেল প্লাতিনিকে ১৬ লাখ ইউরো দেওয়ায় ‘অনৈতিক অর্থপ্রদানের’ অভিযোগে অভিযুক্ত হোন দুইজনেই। যার জন্য ২০১৫ সালে ফিফার সাবেক প্রেসিডেন্ট ব্ল্যাটার এবং উয়েফার সাবেক প্রধান প্লাতিনিকে ৮ বছরের জন্য ফুটবল সংক্রান্ত সকল কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।
আইনজীবীদের অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালে ব্ল্যাটার–প্লাতিনি যোগসাজশ করে ফিফা থেকে ২০ লাখ সুইস ফ্রাঁ হাতিয়ে নিয়েছিলেন। সেই টাকা পেয়েছিলেন প্লাতিনি। এই ঘটনা তখন আলোড়ন তোলার পর ব্ল্যাটারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ২০১৫ সালে ফিফা সভাপতির পদ ছেড়ে দেন এই সুইস। প্লাতিনির ভাবমূর্তিও ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয় এবং ব্ল্যাটারের পর ফিফা সভাপতি হওয়ার যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, সেটিও ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়।
২০১৫ সাল থেকে ৭ বছর কেটে যাওয়ার পর জানা গেল, সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো দোষই নেই ব্ল্যাটার কিংবা প্লাতিনির। বরং সেই অর্থ প্লাতিনির প্রাপ্য ছিল। বেতন বাবদ ফিফা থেকে সেই অর্থ পেতেন ফরাসি ফুটবলের কিংবদন্তি প্লাতিনি। এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
‘আমি আমার জীবনের পথে নিষ্পাপ নই তবে এটুক বলতে পারি এই অভিযোগের ক্ষেত্রে আমি নিষ্পাপ।’- প্লাতিনির সঙ্গে অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুনানিতে গেলে এভাবেই নিজের মত প্রকাশ করেন ব্ল্যাটার। অবশেষে জানা গেল, সেটিই সত্য।
৮৬ বছর বয়সী ব্ল্যাটার দাবি করে এসেছেন, দুই মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ নিয়ে যে বিতর্ক সেটি ‘ভদ্রলোকের চুক্তি’র (জেন্টলম্যানস অ্যাগ্রিমেন্ট) অংশ, যার শুরু ১৯৯৮ সালে, যখন প্লাতিনিকে নিজের টেকনিক্যাল উপদেষ্টা হওয়ার অনুরোধ করেছিলেন তিনি। সুইস আদালতকে ব্ল্যাটার বলেছেন, ৬৭ বছর বয়সী প্লাতিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ফিফায় কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন। তখন তাঁর বার্ষিক বেতন ছিল তিন লাখ সুইস ফ্রাঁ। ব্ল্যাটার জানিয়েছেন, ফিফা তখন আর্থিক সমস্যায় ভুগছিল। প্লাতিনির বার্ষিক বেতনের বাকি এক মিলিয়ন ফ্রাঁ পরে দেওয়ার কথা ছিল বলে জানান ব্ল্যাটার।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল