ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বৃষ্টির কারণে এই ম্যাচ শুরু হয়েছে দুই ঘণ্টা দেরিতে। তাতে কমে গেছে খেলার দৈর্ঘ্যও, ম্যাচ হবে ৪১ ওভারে। প্রতি ইনিংসে এক জন বোলার করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৯ ওভার, ৪ জন করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৮ ওভার করে।
গায়ানায় কার্টেল ওভারের প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরেছেন বাংলাদেশি বোলাররা। মিরাজ-শরিফুলদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ধুঁকছে স্বাগতিকরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শেই হোপকে ফিরিয়ে শুরুটা করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। শূন্য রানে মুস্তাফিজের ইনসুইঙ্গারে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন হোপ। এরপর অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ উইকেট প্রায় পেয়েই গেছিলেন। তবে রিভিউ নিয়ে সেই যাত্রায় বেঁচে যান শামারাহ ব্রুকস।
তবে অসাধারণ বোলিংয়ে উইন্ডিজের ওপর চাপ বজায় রাখেন নাসুম। ৬ ওভারে ৩ মেডেনে ৪ রান দিয়ে চাপে রাখায় অন্য বোলারদের উইকেট দিতে বাধ্য হয় উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। কাইল মায়ার্স মিরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন মাত্র ১০ রান। ব্রুকস কিছুটা প্রতিরোধ গড়লে ৩৩ রান করে ফেরেন শরিফুল ইসলামের বলে। ৯ রান করা ব্রেন্ডন কিংকেও ফেরান শরিফুল। এরপর ৯ রান করে মিরাজের বলে এলবির শিকার হয়ে ফেরেন পাওয়েলও। এরপর নিজের স্পেলের শেষ ওভারে মিরাজ সবচেয়ে বড় উইকেটটাই পেলেন। ডানহাতি স্পিনার ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক নিকোলাস পুরানকে বোল্ড করেন। আর্ম বল ভেতরে ঢুকিয়ে পুরানকে বোল্ড করেন মিরাজ। ৯ ওভারে ২ মেডেনে ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন মিরাজ। ২৪ বল খেলে ১৮ রান করেন পুরান।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে নাসুম আহমেদের। বাঁহাতি এই স্পিনার ওয়ানডে অভিষেকের আগে ২২টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। নাসুমের আগে বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল ইয়াসির আলীর। ২০১৪ সালের পর থেকে এখন অবধি বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোনো ওয়ানডে সিরিজ জেতেনি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ