এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে অনেকেরই নজর ছিল বিরাট কোহলির দিকে। কারণ অনেকদিন ধরেই স্বভাবসুলভ ফর্মে নেই কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী আগেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন কোহলি এশিয়া কাপ দিয়েই ফর্মে ফিরবেন। ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রীও বলেছিলেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে কোহলি হাফসেঞ্চুরি পেলেই সব সমালোচকদের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে।
বিরাট কোহলি নিজেও ম্যাচের দু-একদিন আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি নিজের অবস্থানটা জানেন। মানসিক বিষাদগ্রস্ততা কেটে গেলেই তিনি আবারও স্বরূপে ফিরবেন। এমনকি বলেছিলেন, ক্রিকেটে তার সব পরিস্থি আর বোলারদের সামলানোর সক্ষমতা না থাকলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা এতো দূর আগাত না।
বিরাটের এই দাবি অগ্রাহ্য করার কিছু নেই। কথিত ফর্মে না থেকেও আন্তর্জাতিক ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে তিনি যে গড় ধরে রেখেছেন, তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। নিজের ক্যারিয়ারের শতত টি-টোয়েন্টি খেলা কোহলির গড় এখনও ৪৯.৮৯, মোট রান ৩৩৪৩। স্ট্রাইক রেট এখনও ১৩৭-এর বেশি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ম্যাচে কোহলি স্বভাবসুলভ ফর্মে ফিরতে পারেননি। দেখা যায়নি তার মারকাটারিভাব। কোহলি টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ বলে ৩৫ রান করবেন, এটা অনেকের কাছেই ভালো ঠেকে না।
তবে কালকে যারা ম্যাচটা দেখেছেন, তারা নিশ্চয়ই মানবেন কোহলির এই ধীর ব্যাটিংই কালকে ভারতকে ম্যাচে থিতু করেছে। প্রথমভাগে যদি বিরাট আর রোহিত মিলে লোকেশ রাহুলকে হারানোর ধাক্কাটা সামলে না নিতেন, তবে নিশ্চিতভাবে দলের ওপর চাপ বাড়তো। কারণ ১৪৮ রানের টার্গেটে জয় পেতেও এমন ভারী ব্যাটিং লাইনআপন নিয়েও ভারতকে রীতিমতো ধুঁকতে হয়েছে।
তাই বাহ্যিক চোখে রবীন্দ্র জাজেদা আর হার্দিক পান্ডিয়া ভারকে জয় এনে দিলেও শুরুর টাল সামলে জয়ের ভীত গড়েছিলেন বিরাট। সেই হিসেবে বিরাট স্বভাবসুলভ ফর্মে না থাকলেও অফফর্মে আছেন এটা বলার উপায় আছে কী?
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল