এশিয়া কাপের সুপার ফোরের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচ জিতলেই শ্রীলঙ্কা সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে আর ম্যাচ হারলে শেষ হয়ে যেতে পারে ভারতের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন। তাই ভারতের চেয়ে কিছুটা হলে চাপ মুক্ত থেকে খেলবে দাসুন সানাকার দল।
তবু মনেপ্রাণে ভারতকে হারাতে চায় শ্রীলঙ্কা। রোহিতের দলকে হারাতে কোন কৌশলে আগাতে শানাকার দল, তা বোঝার চেষ্টা করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
দুই ইনফর্ম ব্যাটার
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অর্ডারে এবারের এশিয়া কাপে কোনো তারকা ক্রিকেটার নেই, তবে আছে দলটির সম্মিলিত চেষ্টা। গত দুই ম্যাচে কুসাল মেন্ডিস ৬০ বল খেলে ৯৬ রান করেছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচে তাকে ওপেনিংয়েও নামানো হয়েছিল। তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৭৭৯ রানের মধ্যে ৫৪৫ রানই কুসাল করেছেন টপ অর্ডারে ব্যাট করে। যে পজিশনে তার স্ট্রাইকরেট ১৪২, যেখানে সবমিলিয়ে তার স্ট্রাইকরেট ১২৫। ঘরোয়াতেও তার সাম্প্রতিক ফর্ম চোখে পড়ার মতো।
লোয়ার অর্ডারে লঙ্কানদের ভরসা পাথুম সিশাঙ্কা, দানুশকা গুনাথিলাকা এবং ভানুকা রাজাপাকসে। তবে ক্যাপ্টেন দাসুন সানাকা আছেন ভালো শেপে। ২০২২ সালে ১৪২ স্ট্রাইকরেটে ৩৬৩ রান করেছেন তিনি। ওই পজিশনে তারচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং আর কেউ করেনি এ বছর।
স্পিন আক্রমণ
ভারতকে কাবু করতে শ্রীলঙ্কার স্পিন আক্রমণ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। দলটির অন্যতম ভরসা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা যদিও উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে এশিয়া কাপে খুব একটা ভূমিকা রাখতে পারেননি, তবে কিপ্টে বোলিংয়ে তিনি দলকে এগিয়ে রেখেছেন। মহেশ থিকসানাও আছে ভালো ফর্মে, পাওয়ার প্লেতে বেশ কার্যকর এই স্পিনার। ক্যাপ্টেন শানাকা চারিথ আসালাঙ্কা ও গুনাথিলাকাকেও কাজে লাগাতে পারবেন।
রান তাড়ার আত্মবিশ্বাস
২০২১ সাল থেকে ১১ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কার জয় মাত্র দুইটিতে। একই সময়ে পরে ব্যাট করে সাত ম্যাচে তারা জিতেছে, হেরেছে মাত্র চারটায়। এই এশিয়া কাপেও তারা প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তানের সাথে করেছিল ১০৫ রান, হেরেছিল ৮ উইকেটে। বিপরীতে দুই ম্যাচে পরে ব্যাট করে দুইটাতেই জিতেছে লঙ্কানরা। তারা বাংলাদেশের ১৭৬ ও আফগানদের ১৮৪ রান পরে ব্যাট করে খুব সহজেই জিতে গেছে।
অবশ্য ভারতের বিপক্ষে টসটাও শ্রীলঙ্কার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল