দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা ১৯ বছর পর দেশে আসছে। ২০০৩ সালে ছেলেরা শিরোপা জিতেছিল। এবার মেয়েরা শিরোপা জিতেছেন। আগামীকাল বুধবার ওই শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরবেন সাবিনা খাতুন-স্বপ্না রানি-সানজিদা আক্তাররা।
ঐতিহাসিক এই জয়ে বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। এসময় তিনি বলেছেন, টাকা থাকলে আমি সবাইকে ২ কোটি করে দিতাম।
মঙ্গলবার বিকালে তিনি বলেন, আমি তো চাই প্রত্যাকটা মেয়েকে একসঙ্গে ২ কোটি টাকা করে দিয়ে দিতে। আমার কাছে থাকলে আমি দিয়ে দিতাম, আমি এমনই। আমি চেষ্টা করছি আনতে, আনতে পারলে ওদেরই দেবো।
দেশের সুনাম বয়ে আনা এই ফুটবলারদের মাসিক আয় মাত্র ১০ হাজার টাকা করে। স্বভাবতই নারী ফুটবলারদের শিরোপা জয়ের পর বাফুফে বসের কাছে প্রশ্ন আসে তাদের বেতন নিয়ে। তিনি বলেন, মেয়েগুলোকে যত দেবো, ততই আমি পাবো। এই ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন। এখানে ফান্ড থাকলে সেগুলো কেবল মেয়েদের পেছনেই যাবে।
ভবিষ্যতে নারী ফুটবলে অন্যান্যদের আসতে উৎসাহিত করবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এই মেয়েগুলা যখন প্রথম আসে, ওদের বাবা-মায়েদের আমরা সোনারগাঁওতে (হোটেল) ডেকেছিলাম। তখন তাদের মাসিক আয় ছিল কারও ৭ হাজার, ১০ হাজার কিংবা ১২ হাজার টাকা। আজ ওই মেয়েগুলোর কাছে বাসায় দুই-তিনটা টিভি, চারটা মোবাইল, ব্যাংক ব্যালেন্স, জমি আছে; এসব কিন্তু ফুটবল খেলে হয়েছে। এই ইমপ্যাক্ট ওরা দেখছে।’
বাফুফে সভাপতি বলেন, আগামীকাল বিএফফ এবং সরকার মিলে যে সংবর্ধনা ওদের দেবে, এটা দেখলে এই মেয়েগুলার মনে হবে, আমিও খেলতে পারি, খেলতে চাই। আশা করি, এটার একটা ইতিবাচক দিক থাকবে।’
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত