ইনিংস শুরু করতে নেমে শেষ পর্যন্ত খেললেন মুর্শিদা খাতুন। ব্যাট হাতে আবারও দ্যুতি ছড়ালেন নিগার সুলতানা। দুই জনের অপরাজিত ফিফটিতে দেড়শ ছাড়ানো পুঁজি পেল বাংলাদেশ। পরে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় তুলে নিল তারা। এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই শেষ চারে পা রাখলো বাঘিনীরা
আবু ধাবিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইয়ে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জিতেছে ৫৫ রানে। এর আগে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকেও হারানো দলটি ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষ দল হয়ে কোয়ালিফায়ার প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে।
২০ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ১৫৮ রান। ৯ চারে ৬৪ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মুর্শিদা। ৪০ বলে ১ ছক্কা ৬ চারে ৫৬ রান করেন নিগার। রান তাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ৭১ বলে ৮ চারে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সিন্ধু শ্রীহার্শা। তারপরও কোনো লড়াই করতে পারেনি তার দল। ২০ ওভার খেলে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে দলটি করতে পারে মাত্র ১০৩ রান।
আবুধাবিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে একটিমাত্র উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের বিশাল পুঁজি জড়ো করে বাংলাদেশ। যদিও দলীয় ২০ রানে শামিমা সুলতানাকে হারিয়ে শুরুটা ভালো ছিল না। ১৭ বলে ১০ রান করে শামিমা বিদায় নিলে আরেক ওপেনার মুর্শিদা খাতুনের সাথে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
দুইজনের অনিন্দ্য সুন্দর ব্যাটিংয়ে আর কোনো বিপদই ঘটেনি বাংলাদেশের। ১৩৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দুজনে দলকে এনে দেয় বড় সংগ্রহ। ৬৪ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মুর্শিদা। ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলার দিনে তিনি হাঁকান ৯টি চার। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেওয়া জ্যোতিও তুলে নেন অর্ধশতক। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪০ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনিও।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১২ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। স্নিগ্ধা পাল ও আনিকা কোলান ডাক এর শিকার হন। দিশা ধিংরা করেন মাত্র ১ রান। এরপর লিসা রামজিতকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান অধিনায়ক সিন্ধু শ্রীহর্ষ।তবে তাদের এই প্রতিরোধ শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে, দলকে জয় এনে দিতে পারেনি।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৩ রান দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ। অধিনায়ক সিন্ধু ৭১ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৪১ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন লিসা রামজিত। বাংলাদেশের পক্ষে সালমা খাতুন ও নাহিদা আক্তার একটি করে উইকেট শিকার করেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ