২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:৩৩

হিমালয়জয়ী কলসিন্দুরের কন্যাদের নিজ শহরে সংবর্ধনা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

হিমালয়জয়ী কলসিন্দুরের কন্যাদের নিজ শহরে সংবর্ধনা

নিজ শহরে ‘ছাদখোলা’ গাড়িতে হিমালয়জয়ী কলসিন্দুরের কন্যারা

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর অপেক্ষা ছিল দেশে ফেরার। সেই অপেক্ষা শেষে গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকার পথে পথে সংবর্ধনা জানানো হয় সাবিনা-কৃষ্ণা-সানজিদাদের। এরপর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ জেলা ময়মনসিংহে এলে পথে পথে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন ভক্ত-অনুরাগ, শুভাকাঙ্ক্ষী ও এলাকার লোকজন।

দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে প্রবেশ করেন ফুটবল কন্যারা। সেসময় কলসিন্দুরের এই ৮ নারী ফুলটবলার ছাদখোলা একটি সুসজ্জিত পিকআপে চড়ে ময়মনসিংহ শহর প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউজে অবস্থান করেন। তাদের ঘিরে উৎসবের আমেজে মজেছিল ময়মনসিংহ।

এরপর জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজনে দুপুর ৩টায় ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল উদ্যানের বৈশাখী মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয় হিমালয় জয়ে অনবদ্য অবদান রাখা আট কন্যাকে। তাদের প্রত্যেককে দেওয়া হয় ক্রেস্ট। এছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দুই লাখ, জেলা ক্রীড়া সংস্থা এক লাখ, প্রান্ত স্প্যাশালাইজড হাসপাতালের পক্ষ থেকে এক লাখ করে টাকা দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। এ সময় বিভাগীয় কমিশার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভূঞা, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল আলম, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, নারী ফুটবল টিমের ম্যানেজার মালা রানী সরকারসহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে নিজের অভিব্যক্তি জানাতে গিয়ে সানজিদা আক্তার বলেন, ‘সাফ জেতার পর সবে সবাই অপেক্ষা করছিল আমরা কখন নিজেদের শহরে আসবো কিংবা গ্রামে যাবো। ফাইনালি আজকে আমরা এসেছি। এসেই আমরা সংবর্ধনা পেলাম, মানুষের ভালোবাসা পেলাম। এখানকার সবাই আমাদের সাপোর্ট করে। আবারও এটি নিজের চোখে দেখলাম। সবমিলিয়ে খুবই ভালো লাগছে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, ‘সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের ২৩ সদস্যের মধ্যে আটজনই আমাদের ময়মনসিংহের, এটি অবশ্যই আনন্দের বিষয়। নারী ফুটবল দলের এই অনন্য কীর্তিতে সারাদেশবাসী যেমন গর্বিত, তেমনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমিও আনন্দিত। এ অর্জন আমাদের অদম্য স্পৃহা ও উজ্জীবিত তারুণ্যের বহিঃপ্রকাশ। তারা বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

সংবর্ধনাপ্রাপ্তরা হলেন সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, শাছুন্নাহার সিনিয়র, শামছুন্নাহার জুনিয়র, শিউলি আজিম, তহুরা খাতুন, সাজেদা আক্তার, মার্জিয়া আক্তার। তবে তাদের মাঝে ৬ জন নেপালের বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণ করেন।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর