মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটিংয়ে ভর করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। ৬৯ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর বিপাকে পড়েছিল টাইগাররা। সেখান থেকে মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দুইশত রান পার করেছে বাংলাদেশ। যদিও তাদের দুজনের ১৪৮ রানের জুটির পর আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
ব্যাট হাতে এনামুল হক বিজয়কে দেখে মনে হচ্ছিল আছেন ছন্দে। ফ্লিক করেছিলেন, খেলেছিলেন দৃষ্টনন্দন কাভার ড্রাইভ। কিন্তু টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকানো ওভারেই সাজঘরে ফেরত যান তিনি। মোহাম্মদ সিরাজের বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি বিজয়। পায়ে লাগলে আবেদনের সঙ্গেই সাড়া দেন আম্পায়ার। বাংলাদেশ রিভিউ নেয়, কিন্তু লাভ হয়নি। শুরুতে উইকেটের সঙ্গে রিভিউও হারায় স্বাগতিক শিবির। এনামুলের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১১ রান।
দ্বিতীয় ওভারে উইকেট হারানোর পর লিটন-শান্তর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। কিন্তু টাইগার শিবিরে আবারও আঘাত হানেন মোহাম্মদ সিরাজ। এবার লিটনকে সরাসরি বোল্ড। বল পড়েই নিচু হয়ে ঢুকে। ভেঙে দেয় স্ট্যাম্প। লিটন আউট হলেন ২৩ বলে ৭ রান করে।এরপর ১৫১ কিলোমিটার গতিতে আসা উমরান মালিকের বল শান্তর অফ স্টাম্প উপড়ে ফেলে। লিটনের পর সাকিবের সঙ্গে জুটি গড়ে ভালো ইনিংসের সম্ভাবনা দেখাচ্ছিলেন শান্ত। ২১ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। তার ৩৫ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩ চারের মারে। নিজের ইনিংসটা বড় করতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। ওয়াশিংটন সুন্দরের বল স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করেন তিনি। বল উঠে যায় উইকেটের পেছনে। সহজ ক্যাচ ধরেন শিখর ধাওয়ান। তার ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ৮ রান।
সাকিবের পর মুশফিকও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি। সুন্দরের বল সামনে এসে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন মুশফিকে। বল গ্লাভসে লেগে যায় ধাওয়ানের হাতে। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেয় ভারত। ২৪ বলে ১২ রান করেন মুশফিক। পরের বলেই আফিফ বোল্ড। প্রথম বলেই শূন্য রানে ফেরেন তিনি। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপরই দলের হাল ধরেছেন মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তারা দুজন মিলে গড়েন ১৪৮ রানের জুটি। উমরানের বলে আউটসাইড-এজড হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। মাহমুদউল্লাহ ফিরেন ৯৬ বলে ৭৭ রান করে।
৪৭ ওভার পাঁচ বল শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান করেছে বাংলাদেশ। মিরাজ ৭১ ও নাসুম ১৬ রান করে অপরাজিত আছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
