৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২০:১৬

সাফে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন : অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দলকে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর অভিনন্দন

অনলাইন ডেস্ক

সাফে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন : অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দলকে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর অভিনন্দন

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল (ইনসেটে)

ফের একবার সাফের শিরোপা জিতে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিল বাংলাদেশ। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। অপরাজিত থেকেই চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশের মেয়েরা। এই সাফল্যে বাংলাদেশ দলের সকল খেলোয়াড়, কোচ কর্মকর্তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।

অভিনন্দন বার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্যে দিয়ে বয়সভিত্তিক নারী ফুটবলে বাংলাদেশ আরও একটি ইতিহাস সৃষ্টি করলো। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মধ্যে দিয়ে আমাদের বাঘিনীরা তাদের সক্ষমতা আবারও প্রমাণ করেছে। নিঃসন্দেহে এটি দেশের নারী ফুটবলের ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। আমি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সকল খেলোয়াড়, কোচ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনা ও সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা আজ কোটি বাঙালির স্বপ্ন ছুঁয়েছে। সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে বাংলাদেশ একের পর এক ইতিহাস রচনা করেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’

আজ বৃহস্পতিবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে বাংলাদেশ অধিনায়ক শামসুন্নাহারকে বাড়ানো বল ঠেকাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নেপাল গোলরক্ষক। গোলরক্ষকের পায়ে বল লেগে আকলিমার পায়ে যায়। গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে।

ম্যাচের ১৫তম মিনিটে চোট পেয়ে নেপালের ফুটলারকে সাইডলাইনে যেতে হয়। সুস্থ না হওয়ায় খেলোয়াড় বদলাতে বাধ্য হন নেপাল কোচ। ২২তম মিনিটে প্রথম কর্নার পায় নেপাল। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি নেপালের আক্রমণভাগ। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত নেপাল। তবে বাংলাদেশ গোলরক্ষক রূপনা চাকমার বিশ্বস্ত হাতে সে যাত্রায় রক্ষা পায় বাংলাদেশ।

প্রথমার্ধের ৩১তম মিনিটে শাহেদা আক্তার রিপার বাড়ানো বল অধিনায়ক শামসুন্নাহার নিয়ন্ত্রণে না নিতে পারায় গোল বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। এরপর ৩৬তম মিনিটে আবারও গোলের সুবর্ণ সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এবারও জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন শামসুন্নাহার। পরের মিনিটেই রিপার দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে দলকে কোনোমতো রক্ষা করেন নেপাল গোলরক্ষক।

তবে ম্যাচের ৪১তম মিনিটে নেপাল রক্ষণের ভুলে গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। যা হাতছাড়া করেনি ফরোয়ার্ড রিপা। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান কক্সবাজারের মেসি হিসেবে পরিচিত এই ফুটবলার। তার গোলেই ১-০ গোলের লিড নেয় বাংলাদেশ।

১ গোলে থেমে থাকেনি বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে অধিনায়ক শামসুন্নাহারের নান্দনিক ফিনিশিংয়ে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় স্বাগতিকরা। তার এই গোলেই ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায় বাংলাদেশ। ৪৯তম মিনিটে রিপার বাড়ানো বলে আকলিমার জোরালো শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৫১তম মিনিটে ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায় নেপাল। তবে আরও একবার গোলরক্ষক রূপনার কাছে আটকে যায় নেপালের আক্রমণভাগ।

ম্যাচের বাকি সময়ে আর তেমন কোনো জোরালো আক্রমণ না হওয়ায় ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। এর আগে গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফের শিরোপা জিতেছিল শামসুন্নাহার-সাবিনারা।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর