জুনিয়র মাপুকু’র গোলে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষদিকে গোল পরিশোধ করে দেয় রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। ফলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।
শনিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্রয়ে শেষ হয়েছে। ম্যাচে বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করায় ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে জুলফিকার মাহমুদের দলকে। তাতে তিনে উঠে আসার সুযোগ নষ্ট করেছে তারা।
প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ তৈরি করে শেখ রাসেল। রহমতগঞ্জের রক্ষণে বার বার হানা দিয়েছেন জামাল ভুঁইয়ারা। একাদশ মিনিটে প্রথমবার ভালো সুযোগ তৈরি করে শেখ রাসেল। ইব্রাহিমের পাস ধরে বক্সে ঢুকে পড়া এমফন উদোর গতিময় শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ২৪তম মিনিটে এমফনের ফ্রি-কিকে ইয়াসিন খানের হেড দূরের পোস্ট দিয়ে বাইরে চলে যায়।অবশেষে ২৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। নিজেদের অর্ধ থেকে তিমুর তালিপোভের লম্বা পাস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আগুয়ান গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠান এমপিয়া মাপুকু।
৪০তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন চার্লস দিদিয়ের। শুকুরবেকের ভুল পাস পেয়ে ইব্রাহিমের সঙ্গে বল দেয়া নেয়া করে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি। সোজা তুলে দেন গোলরক্ষকের হাতে।
৪৩তম মিনিটে প্রতি আক্রমণে ওঠে রহমতগঞ্জ। বক্সের বাইরে থেকে ভ্যালেন্সিয়ার নেয়া শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন আশরাফুল ইসলাম। এই কর্নার থেকেই ব্যবধান কমায় রহমতগঞ্জ। কর্নারে উড়ে আসা বলে হেড করে বল জালে পাঠান। শুকুরবেক খোলমাতোভ।
মধ্য বিরতি থেকে ফিরে একবার বল জালে পাঠিয়েছিলেন মাপুকু; কিন্তু অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। ৫৫তম মিনিটে গোললাইন ক্লিয়ারেন্সে শেখ রাসেলকে রক্ষা করেন মনির আলম। ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়া এনামুল ইসলামের গতির শট গোললাইন থেকে ফেরান মনির। বাকি সময়ে দুই দল রক্ষণ আগলে রেখে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে।
৯ ম্যাচে চার জয়, দুই ড্র ও তিন হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে শেখ রাসেল। ৯ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে রহমতগঞ্জ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত